প্রযুক্তি ডেস্ক
সবারই নিশ্চয়ই মনে আছে ফেসবুকে লাইভে এসে নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে। আর ফেসবুকে এই লাইভ নিয়ে সারাবিশ্বে তোলপাড় হয়ে যায়। আর বিশ্বজুড়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ধিক্কার ওঠে। আর এ ঘটনার জের ধরে অনেক দেশই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করছেন। আর এই মিডিয়ার লাগাম টেনে ধরতে নানা পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে এখন কেউ চাইলেই যা ইচ্ছা তাই প্রচার করতে পারবেন না।
তবে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপকে আবার অনেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা হিসেবেও মনে করছেন।
কেননা সোশ্যাল মিডিয়া এখন মানুষকে মতপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য অনেক দেশই মিডিয়ার এই নাক গলানোকে পছন্দ করছেন না। আর নানা আইন করায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও খর্ব হচ্ছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
বর্তমানে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফরমগুলো এতদিন ধরে দাবি করে এসেছে যে, তাদের প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের ব্যবস্থা চালু আছে, যেখানে তারা নিজেরাই আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরিয়ে নেন। যেমন- সম্প্রতি ইউটিউব তাদের ঘৃণ্য বক্তব্য প্রতিরোধবিষয়ক নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে এবং তাদের ভিডিও সেবা থেকে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ৯০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়েছে। তবে সমালোচকরা এসব আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মনে করছে।
তেমনি সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেছে। ফলে ক্ষতিকর কোনো ‘কনটেন্ট’ কোনো সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেলে তার জন্য কোম্পানির কর্মকর্তাদেরও যেন দায়ী করা যায়।
শুধু তাই নয়, এই নিয়ম ভাঙলে ব্রিটিশ সরকার সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের জরিমানা থেকে শুরু করে তাদের সেবা পুরোপুরি বন্ধ বা ব্লক করে দিতে পারবে। পাশাপাশি সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার থেকে শুরু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের কথা ভাবছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংস্কৃতিমন্ত্রী মারগট জেমস বলছেন, এই অবস্থান পরিবর্তন দরকার। তিনি চান, ব্রিটেনে এমন আইন তৈরি করা হোক, যাতে করে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এরকম অবৈধ কনটেন্ট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড