• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রস্তাবিত বাজেটে ১১ পরিবর্তনের দাবি আইসিটিখাত সংশ্লিষ্টদের

  প্রযুক্তি ডেস্ক

১৬ জুন ২০১৯, ১৬:৫৮
আইসিটি খাত
সংবাদ সম্মেলনে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো নিজেদের দাবি তুলে ধরেন (ছবি : সংগৃহীত)

আইসিটিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ১১টি পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে রবিবার (১৬ জুন) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্টে ২শ কোটি টাকা বরাদ্দ, ফাইবার অপটিকস, ই-কমার্স, এনটিটিএনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর মওকুফ ও কমানো অন্যতম।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপি এবি) শীর্ষ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে বাজেট নিয়ে সন্তুষ্ট। আগের থেকে আইসিটিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে, প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ১শ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এগুলো প্রশংসার দাবিদার।

তবে আইসিটিখাতের কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় নতুন করে ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় আগের থেকে করের হার বাড়ানো হয়েছে। আমরা সেগুলোর পরিবর্তন চাই।

বেসিস সভাপতি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্টের প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছে। বাংলাদেশ এগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনুন্নত দেশগুলোকে আইটি সাহায্য দিতে পারে। আর আমাদের লোকেরাই সেখানে কাজ করবে। এটার বাস্তবায়ন করতে পারলে বিশ্ব দরবারে আমাদের আইটি আইসিটি খাতের বড় একটা এক্সপোজার হবে। এজন্য আমরা সরকারের কাছে ৫শ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ চেয়ছিলাম। তবে বাজেটে সে ধরনের কিছু পায়নি। আমরা এইখাতে সরকারের বরাদ্দ চাই।

এছাড়াও তিনি আইটিইএস এর সংজ্ঞা নতুন করে সাজিয়ে আরও কিছু খাত এতে সংযুক্ত করার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে বিসিএস এর সভাপতি শাহীদ উল মুনির ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর মূসক মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে মনিটরের আকার বাড়ানোর দাবি জানান।

তিনি বলেন, বিশ্বে এখন আর কোনো কোম্পানি ২২ ইঞ্চি মনিটর উৎপাদন করছে না। ন্যূনতম আকারের মনিটর হবে ২৪ ইঞ্চি। এজন্য মূসক মুক্ত আওতায় ২৪ ইঞ্চি মনিটর সংযুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে আইএসপিএবি ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি এবং এনটিটিএন সংযোগের উপর থেকে ৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, এমনিতেই ফাইবার অপটিক এবং এনটিটিএনের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সমিশন খরচ অনেক বেশি। যে কারণে ঢাকার থেকে বাইরের অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেটের দাম বেশি হয়। এই অবস্থায় এমন ভ্যাট ও কর আরোপ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। অথচ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ালে জিডিপিতে তা ১ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। এজন্য সরকারের এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করা উচিত।

অন্যদিকে বাক্য ও বেসিস জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে হয়রানি ছাড়াই কর মওকুফের সনদ পেতে চায়।এছাড়াও আইসিটিখাতে দীর্ঘমেয়াদী কর নীতি প্রণয়নেরও দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড