• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কেমন ছিল আলোচিত স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস

  জুবায়ের আহাম্মেদ

৩০ মার্চ ২০১৯, ১১:১০
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস (ছবি: ডিজিট ডট ইন)

বেশ ঘটা করে আলোচনার জন্ম দিয়েই মাসের শুরুতে মার্কিন বাজারে ছাড়া হয় স্যামসাং এর নতুন স্মার্টফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস। এখন পর্যন্ত এটি হতে যাচ্ছে এ যাবতকালের অন্যতম সেরা স্মার্টফোন। এখন পর্যন্ত খুব কম ফোনেই বাজারে আছে যা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসকে নতুন কোন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে সক্ষম। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ের মেট টুয়েন্টি প্রো-এর জবাবে বেশ আকর্ষণীয় এবং অনবদ্য ফোনই বাজারে এনেছে স্যামসাং।

গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযোগ এর দাম ঘিরে। মার্কিন বাজারে ১০০০ ডলারে এই ফোন ছাড়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ৩য় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তো বটেই খোদ মার্কিন বাজারেও সাধারণের জন্য এই ফোন নিজের করে নেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। বাজেটের জন্যই এখন পর্যন্ত প্রচুর গ্রাহক আগ্রহ তৈরি হলেও বাজার দখল করতে পারেনি এস টেন প্লাস। তাই ফিচার এবং বিল্ড আপে পিছিয়ে পড়লেও আদতে শাপে বর হয়েছে হুয়াওয়ে কোম্পানির। তবে আরেক প্রতিদ্বন্দী অ্যাপলকে এখন পর্যন্ত ভালই টেক্কা দিচ্ছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস তাদের অনেক ফিচারেই এখন পর্যন্ত আইফোনের সাথে ব্যাপক প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসের প্রধান আকর্ষণীয় দিক এর ডিসপ্লে। নতুন ইনফিনিটি স্ক্রিনের কারণে প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র সিএনবিসি নিউজের টেকনোলজি বিভাগের জরিপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস। ফোনের মূল সাইজের প্রায় পুরোটা জুড়েই স্ক্রিন সুবিধা দিয়েছে স্যামসাং। আর এবারের প্রচেষ্টায় তাদের ডিসপ্লে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং আরও বেশি রঙিন করা হয়েছে যা ক্রেতাদের ফোনের প্রতি অন্যরকম আগ্রহ তৈরি করছে। দুই ফ্রন্ট ক্যামেরার মাঝে অল্প ব্যবধান, সেই সাথে ফোনের বাটন অংশ একেবারেই ফোনের ডিসপ্লে অংশে থাকায় ফোনের ডিসপ্লে আরও বেশি বড় বলে ভ্রম হয়।

তবে অনেকেই যা জানেন না, স্যামসাং কোম্পানি আইফোনের ডিসপ্লে সরবরাহের কাজ করে থাকে। তাই সামনের দিনগুলোতে একই রকম সিঙ্গেল স্ক্রিন আইফোনেও পাওয়া যেতে পারে বলে অভিমত প্রযুক্তিবিদদের। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসের আরেক দিন তাদের অন স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার। সাধারণত আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফোনের পেছনদিকে ক্যামেরার নিচে দেখেই অভ্যস্ত। কিন্তু এবার স্যামসাং সেই বৃত্ত ভেঙে স্ক্রিনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার স্থাপন করেছে। এতে করে আপনি অন্যের ফোনে কখনোই ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার দেখতে পাবেন না। ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন এই ফোনে আছে ফেইসলক সুবিধাও।

স্যামসাং তাদের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির সুনাম এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই ধরে রেখেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক রিভিউ অনুযায়ী গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস কোনো প্রকার চার্জ দেয়া ছাড়া একবার ফুলচার্জে দুইদিন পর্যন্ত ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ফোন পরিচালনা করতে দিবে। স্যামসাং গ্যালাক্সি টেন প্লাসের এর ব্যাটারি সংক্রান্ত কথা বলতে গেলে আরেকটি বিষয় না বললেই না। আপনি আপনার হাতে থাকা গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসকে চার্জিং প্যাডে পরিণত করে অন্যান্য যেকোন ডিভাইসে চার্জ দিতে পারেন, এমনকি অ্যাপলের আইফোনেও। যদিও এই চার্জ খুবই ধীরগতির।

সবশেষ যে কথাটি বলতে হয় তা হল এর ক্যামেরা। স্যামসাং এর ক্যামেরার বেশ ভালোই খ্যাতি আছে এবং গ্যালাক্সি এস টেন প্লাসে আপনি ক্যামেরার ব্যবহারে অসাধারণ কিছু পাবেন। ফ্রন্ট সেলফিতেই ব্লার করার সুবিধা থাকায় আপনার ছবি আরো অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে উঠবে এস টেন প্লাসের ক্যামেরায়। আর নিজস্ব বিক্সবিসহ অন্যান্য সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের কল্যাণে গ্যালাক্সি এস টেন প্লাস এখন বিশ্বের সেরা দুটি স্মার্টফোনের একটি।

তথ্যসূত্র: সিএনবিসি নিউজ

ওডি/এএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড