শুরু হলো তিনদিনব্যাপী ‘বেসিস সফটএক্সপো’

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবিতে) শুরু হয়েছে দেশের সফটওয়্যার এবং আউটসোর্সিং খাতের প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো -২০১৯’। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই এক্সপোর উদ্বোধন করেন ।

এবারের সফটএক্সপোর ১৫তম আসরে প্রায় ২৫০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারের আসরের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি’।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আগামীর সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। ঢাকার বাইরে ১০ বছর আগেও ব্রডব্যান্ড কানেকশন ছিল না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক আছে। সরকার ‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ দেশের সব ইউনিয়নের হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি দেওয়ার জন্য কাজ করছে ।

তিনি আরও বলেন, সরকার ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে আরও ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাইভেট খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে । এছাড়া সরকার দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পকে এগিয়ে নিতে দেশে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য ২০২১ সাল নাগাদ দেশের তরুণ সমাজকে আইটিতে প্রস্তুত করতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তৈরির কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, এক্সপো কমিটির আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান, বাংলাদেশ কমিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবসহ বেসিসের সদস্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ইন্টারনেট ফাইবার শুধু ইউনিয়ন পর্যন্ত ছড়িয়ে দিলেই হবে না বরং আইএসপিগুলোর মাধ্যমে সেসব এলাকায় সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকার সুফল ভোগ করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তির বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে এবার প্রায় ২৫০ দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের সুযোগ থাকছে। যেখানে প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্স জোন এবং নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে।

অন্যদিকে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, উইমেন জোনফিনটেক জোন এবং প্রতিবারের মতো সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোনতো থাকছে।

জানা গেছে, এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার থাকবে যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন থাকছে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সহজেই নিজেদের ব্যবসার প্রসার করতে পারবেন। আর থাকছে কর্পোরেট আওয়ার, যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। বরাবরের মতো গেমিং ফেস্টের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প।

২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে তিনব্যাপী এই এক্সপো। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনামূল্যে এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে।

এক নজরে বেসিস এক্সপো -২০১৯

• ১০টি বিশেষ জোনে ভাগ করে ২৫০+ স্টল • সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শক -১০৯টি • আইটিএস ও বিপিও প্রদর্শক – ২৯ • এক্সপেরিয়েন্স জোন – ১৮ • ডিজিটাল কমার্স জোন – ২৭ • উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন -২০ • উইমেন জোন – ১৪ • ইন্ডাস্ট্রি জোন ৪-১৪ • ভ্যাট জোন-৮ • ডিজিটাল এডুকেশন জোন-৭ • ফিনটেক জোন-০৪