• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডিজিটাল দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন

  মোহাম্মদ রনি খাঁ

২২ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৫
ডিজিটাল
ছবি : প্রতীকী

অপশক্তি সবসময় গুজব, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারকে আঁকড়ে রাখে। নেই কোনো নৈতিকতা, মানবিকতা। তারা সৃষ্টিকে নয় বরং ধ্বংসকে গ্রহণ করে। সত্যকে মোকাবেলা করার মতো মূল্যবোধ বা মানসিক শক্তি নেই।

প্রযুক্তি মানবিক পৃথিবী, মানবিক রাষ্ট্র এবং ব্যক্তিকে মানবিকতার চর্চা শেখায়। অনেক সময় ধ্বংস ও বিপর্যয় ডেকে আনে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদির ব্যবহার। সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে তবে গুজব বা অপপ্রচার কাম্য নয়।

সেফাতউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি প্রতিনিয়তই ফেসবুক ও ইউটিউবে তরুণদের বিভ্রান্ত করতে আপত্তিকর, অশ্নীল, নোংরা ও উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছেন। এসব ডিজিটাল অপরাধের অবসান প্রয়োজন। ইতোপূর্বে রামু, নাসিরনগর ও দেশের অন্যান্য স্থানে ডিজিটাল গুজব প্রচার করে রাষ্ট্র ও জনজীবনে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে একজন ছাত্রকে পুলিশ হত্যা করেছে বলে ডিজিটাল গুজব প্রচার করে ভয়াবহ নাশকতা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে নির্মম ও ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনাটি এই তো কিছুদিন আগের। পরে ওই কথিত নিহত ছাত্র নুরু নিজে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, ‘আমি মরি নাই।’ যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ফাঁসের গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত, তাদের সাজা দরকার।

স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে ডিজিটাল গুজব, অপপ্রচার আমাদের কাম্য নয়। রাষ্ট্র ও জনজীবনের বিরুদ্ধে অরাজকতা, নাশকতা কাম্য নয়। এসব প্রতিরোধ করা আবশ্যক। প্রয়োজন ডিজিটাল নিরাপত্তা। ডিজিটাল অপরাধের কবল থেকে রাষ্ট্র ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। তথ্যপ্রযুক্তির অপপ্রয়োগ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে যাতে কলুষিত করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।

যখনই ব্যক্তিগত মত প্রকাশের জগৎ ছোট হয়ে আসে, তখনই কিন্তু গুজব বেশি ছড়ায়। যখন একটি সমাজ, একটি জনগোষ্ঠী নির্দ্বিধায় ও নিঃসংকোচে মত প্রকাশ করতে পারে, তখনই একটি সমাজ সামগ্রিকভাবে উন্নতি লাভ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকা। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে, গুজব ছড়িয়ে, একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর যাই হোক, এগুলো তো কখনো সহ্য করা যায় না। কেউ বলল, চিলে কান নিয়ে গেছে আপনি পরীক্ষা না করে কী চিলের পিছে ছুটবেন!

ইন্টারনেটে হয়রানি, রিপোর্ট করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা, যুবসমাজের ওপর পর্নোগ্রাফির করাল গ্রাস এবং গালাগালি ও অশ্লীল প্রদর্শন ইত্যাদি অপব্যবহারের নিদর্শন প্রচুর। বাংলাদেশ ইন্টারনেট লিটারেসি বা জ্ঞানের ব্যাপারটি প্রথম থেকেই গুরুত্ব সহকারে নিলে হয়তো পরিস্থিতি অন্য রকম হতো।

ডিজিটাল দায়িত্বশীলতা শেখায় কীভাবে গুজব বা অসত্য তথ্য চিহ্নিত করে পরিহার করা যায়, অপরের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলা যায় এবং নিজের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়। তাদের শেখানো হয় ইন্টারনেটের নৈতিকতা- অপরের ছবি বা তথ্য ব্যবহার করার সময় তাদের অনুমতি নেওয়া এবং উৎসের নাম উল্লেখ করা, দেশের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে জানা এবং আইন লঙ্ঘন না করা ইত্যাদি। আসুন গুজব, অপপ্রচারকে ‘না’ বলি সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণ করি।

লেখক : শিক্ষার্থী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড