তারিন ফাহিমা
ব্যস্ত এই নগরীতে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় দুষ্কর। কেননা দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের সংযোগ আছে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার।
কিন্তু হঠাৎ করে আপনার এই প্রিয় ফোনটি হারিয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে হারিয়ে যেতে পারে ওই ডিভাইসে থাকা সকল তথ্য। কিন্ত অনেকে না জানার কারণে নিজের ফোনটি কোথায় আছে সেটি জানতে পারেন না। আপনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন চুরি বা হারিয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক কোথায় আছে।
ফাইন্ড মাই ডিভাইস
অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলেই এখন ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ফিচারটি দেখা যায়। আর এই সার্ভিসের মাধ্যমে মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করা সম্ভব। ফোন হারিয়ে গেলে অন্য আরেকটি ডিভাইস থেকে গুগল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে ফোনের অবস্থান জানার পাশাপাশি ফোনটিকে লক করে ফোনের সকল তথ্য মুছে দেয়া সম্ভব। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার ফোনে এই সার্ভিসটি চালু থাকতে হবে। আর অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে হবে।
চলুন জেনে নেই কীভাবে ফোনে সার্ভিসটি চালু করবেন:
সেটিংস অপশনে গিয়ে খুঁজে দেখতে হবে আপনার ফোনে ফাইন্ড মাই ডিভাইস ফাংশনটি আছে কি না। যদি না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে নিতে হবে। সার্ভিসটি সক্রিয় করতে নিচের কাজগুলো করতে হবে।
প্রথমে ফোনের সেটিংস এ গিয়ে সিকিউরিটি অপশনে যান। এরপর ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অপশনে প্রবেশ গিয়ে ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ নামে যে অপশনটি আছে সেটি চালু করুন।
ফোনের অবস্থান নিখুঁতভাবে ট্র্যাক করতে লোকেশন অ্যাকিউরিসি এর জন্য পুনরায় সেটিংসে এ যান। সেখান থেকে লোকেশন অপশনে প্রবেশ করুন। উপরে ডানে দেখুন এটি চালু করা আছে কিনা। চালু না করা থাকলে সেটিকে সক্রিয় করুন। পরে মোড অপশনে ক্লিক করে হাই অ্যাকিউরিসি নির্বাচন করুন।
এবার আবার লোকেশনে গিয়ে গুগল লোকেশন হিস্ট্রিতে প্রবেশ করুন। সেখানে ইউজ লোকেশন হিস্ট্রি নামে একটি অপশন পাবেন, সেটিকে চালু করে নিন। এখন আপনার ফোন তার অবস্থান জানানোর জন্য প্রস্তুত।
যেভাবে হারানো ফোন বের করবেন
একই সাথে ৩টি ভিন্ন অপশন ও দেখা যাবে। যেমন-
১.“প্লে সাউন্ড” নামের অপশনটি বাছাই করলে ফোনে একটানা ৫ মিনিট মিউজিক বাজিয়ে যাবে। এমনকি ফোনটি সাইলেন্ট থাকলেও এই অপশন কাজ করবে।
২.“লক অপশন” নির্বাচন করে আপনি ফোনকে লক করে দিতে পারবেন এবং তার সাথে ফোনের ডিসপ্লেতে একটি বার্তা ও রেখে দিতে পারবেন।
৩.“ইরেজ” অপশনটি বাছাই করলে আপনার ফোনটির সকল ডাটা মুছে যাবে; যাকে সাধারণত ফরমেট বলা হয়ে থাকে। এই অপশনটি বাছাই করলে গুগল একাউন্টের সমস্ত তথ্য ঐ ফোন থেকে মুছে যাবে। যার ফলে ফোনটিকে ও আর ট্র্যাক করা সম্ভব হবে না।
এছাড়া ও ফোন খুঁজে বের করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যেমন-
Where’s My Droid
ট্র্যাক করার সুবিধাসহ এই অ্যাপ্লিকেশনে আরও কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। যেমন- জরুরি অ্যালার্ম বাজানোর একটি ফিচার আছে, আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনে নির্দিষ্ট একটি মেসেজ পাঠালে সেটি বেজে উঠবে। আর রয়েছে Stealth Mode ফাংশন, যেটি হারানো ফোনে যাওয়া সকল ধরনের মেসেজ লুকিয়ে রাখবে। এছাড়াও সিম কার্ড মনিটর করার একটি সুবিধাও রয়েছে।
Cerberus Anti Theft
আপনি হারিয়ে যাওয়া ফোনটিকে এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে দূরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে ফোনকে ট্র্যাক করার পাশাপাশি মেসেজের মাধ্যমে কোড পাঠিয়ে ফোনটিতে সিকিউরিটি লক করা যাবে। এমনকি মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করে চোরের ছবিও নেয়া যাবে।
তবে ফোনটি যদি পেশাদার কোনো চোরের হাতে পড়ে তাহলে একে ট্র্যাক করাটা বেশ কষ্টকর হবে। কেননা পেশাদার চোরেরা ফোন পেলে সিম কার্ড ফেলে দেবার পাশাপাশি নতুন করে ফার্মওয়্যার ইনস্টল করে ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে এখানকার কোনো সফটওয়্যারই কাজে আসবে না। কিন্তু অনভিজ্ঞ চোরের কাছে গেলে সেটি খুঁজে পাবার সম্ভাবনা আছে। তাই চেষ্টা করতে দোষ কী?
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড