প্রযুক্তি ডেস্ক
‘উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন ছড়ায় অপো’-এই শিরোনামে দৈনিক অধিকার গত ১৩ এপ্রিল যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্মার্টফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি অপো। তাদের অভিযোগ প্রকাশিত সংবাদে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অপো বাংলাদেশের জনসংযোগ এজেন্সি এশিয়াটিক থ্রিক্সটির ব্ল্যাকবোর্ড স্ট্রাটেজির মিডিয়া রিলেশন এক্সিকিউটিভ রিসাদ রায়হানের ই-মেইল থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি এসেছে। প্রতিবাদলিপিতে লিউ ফেং, হেড অব ব্র্যান্ড, অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তার স্বাক্ষর ও তারিখ ছিল না।
আরও পড়ুন : পুরনো ফোন নতুন নামে লঞ্চ করছে অপো!
অপো অভিযোগ করেছে, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনকে ক্ষতিকর রেডিয়েশন ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপোর নাম শিরোনামে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।’
অথচ, ওই প্রতিবেদনে এককভাবে অপোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। ক্ষতিকর রেডিয়েশন ছড়ায় এমন ১০টি হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে তাদের রেডিয়েশনের মাত্রাও।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সবচেয়ে বেশি রেডিয়েশন ছড়ানো ফোনের তালিকায় আছে অপো রেনো ৫ মডেল। ব্যাঙ্কলেস টাইমসের একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে যে তালিকার ছবিটি সংবাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে, তা থেকেই প্রমাণিত হয় যে, অপো রেনো ৫ মডেলের ফোন সবচেয়ে বেশি রেডিয়েশন ছড়ানোর তালিকার প্রথমে নয়, বরং সপ্তম অবস্থানে আছে। আমরা ব্যাঙ্কলেস টাইমসের এই রিপোর্ট এর ব্যাপারে অবগত। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় অপোর অবস্থান সপ্তম।’
আরও পড়ুন : অপো ‘এফ ২১ প্রো’ : কম সুবিধায় অতিরিক্ত দাম, সমালোচনা ইউজার কমিউনিটি গ্রুপেও
ঢাকা মেইলের বক্তব্য হচ্ছে, বিবৃতির মাধ্যমে অপো স্বীকার করেছে যে তাদের ফোন রেডিয়েশন ছাড়ায়। ঢাকা মেইলের প্রতিবেদনে কোথাও উল্লেখ নেই যে রেডিয়েশন ছড়ানো ফোনের তালিকায় এক নম্বরে আছে অপো। বরং বলা হয়েছে শীর্ষ ১০ রেডিয়েশন ছড়ানো ফোনের তালিকায় আছে অপো।
তাই দৈনিক অধিকারে প্রকাশিত সংবাদ ভুল, ভ্রান্তিকর, অসত্য বলার সুযোগ নেই অপোর।
অপো তাদের পাঠানো বিবৃতির শেষ দিকে দাবি করছে, আলাদা করে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য হচ্ছে, ‘উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন ছড়ানো ফোন নিয়ে গবেষণা করেনি অধিকার। গবেষণাটি করেছে ব্যাঙ্কলেস টাইমস। দৈনিক অধিকার ব্যাঙ্কলেস টাইমস এর গবেষণাটি পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছে। কেননা, রেডিয়েশন ছড়ানোর সংবাদটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং হুমকিস্বরূপ। এছাড়াও এই গবেষণার ‘সংবাদমূল্য’ রয়েছে। তাই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে স্বনামধন্য অনলাইন গণমাধ্যম দৈনিক অধিকারকে কোনোভাবেই দায়ী করার সুযোগ নেই। বরং অধিকারের প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ভ্রান্তিকর, ভুল দাবি করা অনুচিত।
উল্লেখ্য যে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত রেডিয়েশনের ফলে শরীরে ক্যানসার হয়।
ওড/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড