২৮ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এটুআই-আইসিটি ডিভিশন ও বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে দেশের স্পেশালাইজড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি ‘গিকি সোশ্যাল’ তৃতীয়বারের মতো আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর কেআইবি কমপ্লেক্সে আয়োজন করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট-২০১৯।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ এফ-কমার্স উদ্যোক্তা রয়েছে। যার পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি নারী উদ্যোক্তা। এই ক্রম বর্ধমান শিল্পের মানোন্নয়ন, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এফ-কমার্স সামিটে রাখা হয়েছে চারটি নলেজ সেশন।

ইউটিউবারদের মতো কীভাবে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়, এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য একটি সেশন রাখা হয়েছে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ম্যাসেঞ্জার বট নিয়েও রয়েছে আলাদা আলাদা সেশন। ফেসবুক উদ্যোক্তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ নলেজ সেশন রয়েছে।

ন্যাশনাল এফ-কমার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই শিল্পকে উৎসাহিত করতে পাঁচজন এফ-কমার্স উদ্যোক্তা এবং পাঁচজন পৃষ্ঠপোষককে পুরস্কৃত করা হবে।

আয়োজকদের ধারণা, এবার প্রোডাক্ট এক্সিবিশন, নলেজ সেশনে মিলে দুই হাজার দর্শনার্থী এবং এক হাজার উদ্যোক্তার মিলনমেলা হবে।

এই অনুষ্ঠানের প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষক এসএমই ভাইয়ের চিফ অপারেশন অফিসার সদরুল হাসান বলেন, বেকার সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তারুণ্য এফ-কমার্সের যে বড় বাজার সৃষ্টি করেছে, তার মান উন্নতকরণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে নতুন বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য এসএমই ভাই সবসময় উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট-২০১৯’র আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি আমরা।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান গিকি সোশ্যাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সাগর বলেন, আমি লক্ষ করেছি আজকের তারুণ্য বেশ বড় একটা সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটায়, সেটি নিছক বিনোদন ছাড়া আর কিছু দেয় না। সেই জায়গা থেকে আমি তারুণ্যের সামনে তুলে ধরতে চাই কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়। সেই লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছি ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট-২০১৯।

ওডি/টিএএফ