• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্ত্রী রেগে গেলে কী করবেন?

  ধর্ম ও জীবন

১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৯
MuslimCouple
ছবি : প্রতীকী

সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর একটি হাদীস সবসময় মাথায় রাখবেন, তিনি বলেছেন-

‘স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শয়তানে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়, যাতে তারা একজন থেকে আরেকজন পৃথক হয়ে যায়।’ [সহীহ মুসলিম : ৫০৩৯]

প্রথমে স্ত্রীর রাগ-অভিমানের কারণ নির্ণয় করুন। স্ত্রীর রাগারাগির সময় সঙ্গে সঙ্গে প্রতিউত্তর করে ঝগড়া না বাড়িয়ে বরং ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিয়ে চুপ থাকুন। সেখান থেকে তা সম্ভব না হলে, অন্য ঘরে চলে যান। এরপর স্ত্রীর মেজায ঠান্ডা হওয়ার পর দরদের সাথে বাস্তব অবস্থা বুঝিয়ে তার মান-অভিমান বা রাগ ভেঙ্গে দিন।

পরিস্থিতি যদি সীমার বাইরে চলে যায়, স্ত্রীর রাগ সামাল দেয়ার মত স্বামীর সামর্থ্য আর না থাকে, তাহলে স্ত্রীর নিকটস্থ ঘনিষ্টজনদের ডেকে তাদের মাধ্যমে সমস্যা নিষ্পত্তি করতে হবে। [সুরা নিসা : ৩৫]

স্বামীর উচিত স্ত্রীর সাধারণ ভুলগুলো ক্ষমা করা এবং পরবর্তীতে না করার জন্য হাসিমুখে শোধরে দেওয়া। স্ত্রী দোষ করে থাকলে বার বার তার দোষগুলো না বলাই উত্তম। অন্যথায় সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।

স্ত্রীকে তার পছন্দের হাদিয়া-উপঢৌকন দেয়া যেতে পারে। একান্ত মুহূর্তে ইসলামের কথা, হেদায়াতের কথা বোঝানো যেতে পারে এবং স্ত্রীকে ইসলাম ভালোভাবে বুঝার জন্য বই-পত্র কিনে এনে দেয়া যেতে পারে।

এভাবে কৌশলের মাধ্যমে স্ত্রীর রাগ প্রশমিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি না করাই স্বামীর কর্তব্য।

কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে পুরুষেরা! তোমরা নারীদেরকে সর্বদা সদুপদেশ দাও। কেননা তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে। তুমি যদি তাকে সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি একেবারে ছেড়ে দাও তাহলে সে বাঁকাই থাকবে।’ [বুখারি : ৫১৮৬]

তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী স্ত্রীলোকদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে (রূপকার্থে)। তাদের আচরণের মাঝে কিছুটা বক্রতা থাকবেই। অপরদিকে কেউ সেই বক্রতাকে একেবারে সোজা করার কল্পনা করা নিষ্ফল ও অলীক ধারণা। সেরকম কিছুতে তা ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা আছে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে।

তাই নারী তথা স্ত্রীর বক্রতাকে মেনে নিয়েই হেকমত ও কৌশলের সাথে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে তাদেরকে মানিয়ে নিয়ে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়াই স্বামীর কর্তব্য।

আর মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে, আপনার স্ত্রীও একজন মানুষ। ভালোলাগা, খারাপলাগা তারও থাকতে পারে। সবার বুঝ একই রকম হয় না। অনেকেই মনে করে, আরেকটা বিয়ে করলে শান্তি পাবো। মূলত সেইখানেও শান্তি মিলে না। শান্তি বিবাহে নয়, শান্তি থাকে মনে, বন্ধুত্বময় সম্পর্কে, নিজের সুখের চেয়ে অন্যকে সুখে রাখার মাঝে। অন্যায়ভাবে জুলুমকারী কখনোই রেহাই পাবে না। অবশ্যই স্বামীকে এর কঠিন জবাবদিহিতা করতে হবে আল্লাহর সামনে।

মহান আল্লাহর দরবারে দুয়া করি সুন্দর হোক, ভালো থাকুক প্রতিটি সম্পর্ক।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড