ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
জুমার দিনের অন্যতম আমল হলো সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা। এটি কুরআনুল কারিমের ১৮তম সুরা। আয়াতসংখ্যা ১১০। ‘কাহফ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পাহাড়ি গুহা। সুরাটিতে ‘আসহাবে কাহফ’ তথা ওই সব মুমিন যুবক, পূর্বকালে যারা নিজেদের দীন-ঈমানকে হেফাযতের জন্য কোনো এক পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপন করেছিল, তাদের ঘটনাটি আলোচনা হয়েছে বিধায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা কাহফ’।
তাফসিরের কিতাবাদিতে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, পুরো সুরাটি একসাথে নাযিল হয়েছে এবং নাযিলের সময় সত্তর হাজার ফেরেশতা জিবরিল আমিনের সাথে এসেছিলেন। হাদিসে এই সুরাটির অনেক ফযিলত এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফ যথাযথভাবে তিলাওয়াত করবে, এটি তার জন্য কিয়ামতের দিন নুর (আলো) হবে। [বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং: ২২২১]
বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়াটি ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসুলের কাছে এসে রাতের ঘটনা জানাল। তিনি বললেন, ওটা ছিল ‘সাকিনাহ’ (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কুরআন তিলাওয়াতের বরকতে নাযিল হয়েছিল। [বুখারি, আসসাহিহ : ৫০১১; মুসলিম, আসসাহিহ : ৭৯৫]
নাওয়াস ইবনু সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সুরা কাহফের শুরুর অংশ পাঠ করে।’ [মুসলিম, আসসাহিহ : ২৯৩৭]
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুময়ার দিন সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এটি তার জন্য নুর (আলো) হবে।’ [আলবানি, সাহিহ আলজামি : ৬৪৭০]
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড