ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
নামাজের চুরি হচ্ছে সবচেয়ে বড় চুরি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর সেই ব্যক্তি, যে নামাযে চুরি করে। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! নামাযে আবার কীভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, ‘রুকু-সিজদা পরিপূর্ণভাবে করে না।’ [আহমাদ, আলমুসনাদ : ৫/৩১০]
একজন মুমিন নামাজ আদায় করবেন বিনয়াবনতভাবে। নামাজ পড়া অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার ভয়, শ্রেষ্ঠত্ব, প্রতাপ ও পরাক্রমের কারণে সন্ত্রস্ত ও আড়ষ্ট থাকবে। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর ভয়ে তার মাথা নত হয়ে যাবে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢিলে হয়ে যাবে, দৃষ্টি নত হবে, কণ্ঠস্বর নিম্নগামী হবে। এমনভাবে নামাজ আদায়কারী মুমিনকে আল্লাহ তায়ালা সফল মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘নিশ্চিতভাবে সফলকাম হয়েছে মুমিনরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ [সুরা মুমিনুন : ১-২]
অনেকে নামাজে ধীরস্থির ভাব বজায় রাখে না। ধীরে-সুস্থে রুকু-সিজদা করে না। রুকু থেকে যখন মাথা তোলে তখন পিঠ সোজা করে দাঁড়ায় না এবং দুই সিজদার মাঝে পিঠ টান করে বসে না। খুব কম মসজিদই এমন পাওয়া যাবে, যেখানে এ জাতীয় দু-চারজন পাওয়া যাবে না। অথচ ধীরস্থিরতা বজায় রাখা সালাতের অন্যতম রুকন। স্বেচ্ছায় তা পরিহার করলে কোনো মতেই সালাত শুদ্ধ হবে না। সুতরাং বিষয়টি বেশ গুরুতর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যে পর্যন্ত না রুকু-সিজদায় তার পৃষ্ঠদেশ সোজা করবে, সে পর্যন্ত তার সালাত যথার্থ হবে না।’ [মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং-৯৭৮]
যে ব্যক্তি সালাতে ধীরস্থিরতা বজায় রাখে না, সে যখন তার বিধান জানতে পারবে তখনকার ওয়াক্তের ফরজ সালাত তাকে আবার পড়তে হবে। আর অতীতে যা ভুল হয়ে গেছে সে জন্য তাওবা করবে, সেগুলো আর আবার পড়তে হবে না। যেমন হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন জনৈক দ্রুত সালাত আদায়কারীকে লক্ষ করে বললেন, ‘যাও, সালাত আদায় করো। কেননা তুমি তো সালাত আদায় করনি।’ [বুখারি, মুসলিম, মিশকাত : ৭৯০]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিনয়াবনতভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড