• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আল কুরআনের নাম ও সিফাত (শেষ পর্ব)

  ধর্ম ডেস্ক

০৮ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৪৫
কুরআন
ছবি : প্রতীকী

এমনিভাবে কিছু মানুষ ধারনা করতো যে, কোনো কবি সাহিত্যিক শিক্ষা দেয়। তারা বলতো إِنْ هٰذَآ إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ এটাতো মানুষেরই কথা।

এ ধারণার খন্ডন করে রব্বুল আলামীন বলেছেন,

وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُۥ بَشَرٌ ۗ لِّسَانُ الَّذِى يُلْحِدُونَ إِلَيْهِ أَعْجَمِىٌّ وَهٰذَا لِسَانٌ عَرَبِىٌّ مُّبِينٌ

আমিতো জানিই তারা বলে- তাকে শিক্ষা দেয় জনৈক ব্যক্তি। তারা যার প্রতি এটা আরোপ করে তার ভাষাতো আরাবী নয়; কিন্তু কুরআনের ভাষা স্পষ্ট আরাবী ভাষা। (১৬ নাহাল ১০৩)

তাদের ধারণা এটাও ছিল যে এ বাণী কোনো জাদুকর, কবি বা গণকের এজাতীয় ধারণার খন্ডন করত। তিনি বলেন,

وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ ۚ قَلِيلًا مَّا تُؤْمِنُونَ

ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর।

وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ ۚ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ

ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর।

تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعٰلَمِينَ

ইহা জগতসমূহের রবের নিকট হতে অবতীর্ণ। (৬৯ হাক্কা ৪১-৪৩)

আর এটা নবী (আঃ) কী করে করতে পারে যেখানে রব্বুল আলামীন পরের আয়াতে ধমক দিয়ে বলেছেন এটা করলে তার (সাঃ) জীবন ধমনী কেটে ফেলার মতো হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন! তিনি বলেন,

وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ

সে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করত।

لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ

আমি অবশ্যই তার ডান হাত ধরে ফেলতাম।

ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ

এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী।

فَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حٰجِزِينَ

অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহ নেই যে, তাকে রক্ষা করতে পারবে। (৬৯ হাক্কা ৪৪-৪৭)

এভাবে কিছু লোকের ধারণা এ বাণী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রচনা। তিনি নিরক্ষর হলেও কবি। একথার খন্ডন করে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَمَا عَلَّمْنٰهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنۢبَغِى لَهُۥٓ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْءَانٌ مُّبِينٌ

আমি তাকে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং এটা তার পক্ষে শোভনীয় নয়। ইহাতো শুধু উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন। (৩৬ ইয়াসিন ৬৯) আয়াতে উল্লিখিত দাবী খন্ডন করে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

بَلْ قَالُوٓا أَضْغٰثُ أَحْلٰمٍۭ بَلِ افْتَرٰىهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ فَلْيَأْتِنَا بِـَٔايَةٍ كَمَآ أُرْسِلَ الْأَوَّلُونَ

তারা এটাও বলে- এ সব অলীক কল্পনা হয় সে উদ্ভাবন করেছে, না হয় সে একজন কবি; অতএব সে আনয়ন করুক আমাদের নিকট এক নিদর্শন যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছিল পূর্ববর্তীগণ। (২১ আম্বিয়া ৫)

وَمَا كَانَ هٰذَا الْقُرْءَانُ أَن يُفْتَرٰى مِن دُونِ اللَّهِ وَلٰكِن تَصْدِيقَ الَّذِى بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ الْكِتٰبِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِن رَّبِّ الْعٰلَمِينَ

আর এই কুরআন কল্পনা প্রসূত নয় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে, ইহাতো সেই কিতাবের সত্যতা প্রমাণকারী যা এর পূর্বে (নাযিল) হয়েছে, এবং আবশ্যকীয় বিধানসমূহের বিশদ বর্ণনাকারী (এবং) এতে কোন সন্দেহ নেই (ইহা) বিশ্বের রবের পক্ষ হতে (নাযিল) হয়েছে। (১০ ইউনুস ৩৭)

وَإِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ ءَايٰتُنَا بَيِّنٰتٍ قَالُوا مَا هٰذَآ إِلَّا رَجُلٌ يُرِيدُ أَن يَصُدَّكُمْ عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ ءَابَآؤُكُمْ وَقَالُوا مَا هٰذَآ إِلَّآ إِفْكٌ مُّفْتَرًى ۚ وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ إِنْ هٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ

তাদের নিকট যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয় তখন তারা বলে- তোমাদের পূর্ব-পুরুষ যার ইবাদাত করত এই ব্যক্তিইতো তার ইবাদাতে তোমাদেরকে বাঁধা দিতে চায়। তারা আরও বলে- এটাতো মিথ্যা উদ্ভাবন ব্যতীত কিছু নয় এবং কাফিরদের নিকট যখন সত্য আসে তখন তারা বলে, এটাতো এক সুস্পষ্ট যাদু! (৩৪ সাবা ৪৮)

লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

ওডি/এনএম

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড