ধর্ম ডেস্ক
মহান রবের নির্দেশে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়। যাতে করে একক রবের তাওহীদুল্লাহয় বিশ্বাসি সকল দিকের মানুষ যেন একটি কেন্দ্রীক ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান রবের উপাসনা করতে পারে। নেক পৌত্তলিকরা অজ্ঞতা বশতঃ বলে থাকেন, আমরাই কি শুধু ইট পাথরের নির্মিত মূর্তির পূজা করি? বরং মুসলিমগণও তো ইট পাথরের নির্মিত কাবার ইবাদত করে।
কথাটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ আমরা কাবার ইবাদত করি না বরং কবা কেন্দ্রিক একক মালিকের উপাসনা করে থাকি। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هٰذَا الْبَيْتِ
অতএব তারা ইবাদাত করুক এই গৃহের রবের। (১০৬ কুরাইশ ৩)
বুঝা গেল কেউ কাবার উপাসনা করলে সে কাফের, মুশরিক হয়ে যাবে। তবে এ ঘরের সম্মান করতে হবে কারণ এর সম্পর্ক মহান রবের সাথে। তিঁনি বলেন,
وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْنًا وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرٰهِۦمَ مُصَلًّى ۖ وَعَهِدْنَآ إِلٰىٓ إِبْرٰهِۦمَ وَإِسْمٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِىَ لِلطَّآئِفِينَ وَالْعٰكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
এবং যখন আমি কা‘বা গৃহকে মানব জাতির জন্য সুরক্ষিত স্থান ও পুণ্যধাম করেছিলাম, এবং মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের জায়গা নির্ধারণ করেছিলাম এবং আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলের নিকট অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী ও ই’তিকাফকারী এবং রুকু সেজদাহকারীদের জন্য পবিত্র রেখ। (২ বাকারাহ ১২৫)
তিঁনি আরো বলেন,
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِى بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعٰلَمِينَ
নিশ্চয়ই সর্ব প্রথম গৃহ, যা মানবমন্ডলীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে তা ঐ ঘর যা বাক্কায় (মাক্কায়) অবিস্থত; ওটি সৌভাগ্যযুক্ত এবং সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য পথ প্রদর্শক।
فِيهِ ءَايٰتٌۢ بَيِّنٰتٌ مَّقَامُ إِبْرٰهِيمَ ۖ وَمَن دَخَلَهُۥ كَانَ ءَامِنًا ۗ وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا ۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِىٌّ عَنِ الْعٰلَمِينَ
ওর মধ্যে প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহ বিদ্যমান রয়েছে, মাকামে ইবরাহীম উক্ত নিদর্শনসমূহের অন্যতম। আর যে ওর মধ্যে প্রবেশ করে সে নিরাপত্তা প্রাপ্ত হয় এবং আল্লাহর উদ্দেশে এই গৃহের হজ করা সেই সব মানুষের কর্তব্য যারা সফর করার আর্থিক সামর্থ্য রাখে এবং যদি কেহ অস্বীকার করে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসী হতে প্রত্যাশামুক্ত। (৩ ইমরান ৯৬-৯৭)
বায়তুল্লাহর মর্যাদা বর্ণনা করে রাব্বুল আলামীন বলেন,
وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرٰهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَن لَّا تُشْرِكْ بِى شَيْـًٔا وَطَهِّرْ بَيْتِىَ لِلطَّآئِفِينَ وَالْقَآئِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই গৃহের স্থান তখন বলেছিলাম- আমার সাথে কোনো শরীক স্থির কোরো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখ তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দন্ডায়মান থাকে, রুকু করে ও সেজদা করে। (২২ হজ ২৬-২৭)
হজের দিনসমূহের বর্ণনা সম্পর্কে রব্বুল ইজ্জত বলেন,
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومٰتٌ ۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِى الْحَجِّ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ ۗ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى ۚ وَاتَّقُونِ يٰٓأُولِى الْأَلْبٰبِ
হজের মাসগুলি সুবিদিত। কেহ যদি ঐ মাসগুলির মধ্যে হজের সংকল্প করে তাহলে সে হজের সময়ে সহবাস, দুস্কার্য ও কলহ করতে পারবে না এবং তোমরা যে কোনো সৎ কাজ কর না কেন আল্লাহ তা জ্ঞাত আছেন। আর তোমরা তোমাদের সাথে পাথেয় নিয়ে নাও। বস্ত্ততঃ উৎকৃষ্ট পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া বা আত্মসংযম। সুতরাং হে জ্ঞানবানগণ! আমাকে ভয় কর।
চলবে...
লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড