আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতি মাসেই ‘মান কি বাত’ নামক অনুষ্ঠানে হাজির হন। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলে থাকেন। এবারের পর্বেও তেমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
রমজানের আগমন নিয়ে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আর কিছুদিন পরেই রমজান মাস শুরু হবে। পুরো বিশ্বেই সম্মান আর শ্রদ্ধার সঙ্গে রমজান মাস পালন করা হয়ে থাকে। সামাজিক ও সমষ্টিগত দিক থেকে রোজা হচ্ছে এমনি একটি বিষয়, যা একজন ব্যক্তিকে ক্ষুধার্ত থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে। রোজা রাখলে একজন মানুষ অন্যজনের ক্ষুধার্ত অবস্থা বুঝতে পারে। যখন সে তৃষ্ণার্ত থাকে তখন সে অন্যের তৃষ্ণার্ত অবস্থা উপলব্ধি করতে পারে। এটা হজরত মুহাম্মদ সা: যে শিক্ষা দিয়েছেন তা স্মরণ করার একটি সুযোগ। সমতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ যে নৈতিকতায় তিনি (মহানবী) জীবনযাপন করেছেন তা অনুসরণ করা আমাদের দায়িত্ব।
মোদি আরো বলেন, একবার এক ব্যক্তি মহানবী সা:কে প্রশ্ন করেছিলেন, ইসলামের সবচেয়ে উত্তম জিনিস কী? তিনি এর উত্তরে বলেন, একজন দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্তকে খাওয়ানো এবং আপনি কাউকে চেনেন বা না চেনেন সবাইকে সম্ভাষণ (সালাম) জানানো। মহানবী সা: দু’টি জিনিসের প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। একটি হলো জ্ঞান এবং অপরটি সমবেদনা। তার মধ্যে কখনো এক ফোঁটাও অহংবোধ দেখা যায়নি। তিনি প্রচার করতেন যে, জ্ঞান একাই মানুষের সব ধরনের অহংবোধকে পরাজিত করতে পারে।
মহানবী সা: বিশ্বাস করতেন যে, কারো যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিছু থাকে তবে তার উচিত অভাবগ্রস্তদের মাঝে সেগুলো বিতরণ করা। তাই রমজান মাসে দান-খয়রাত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ এই পবিত্র মাসে উদার হস্তে দান করে থাকেন। তিনি বিশ্বাস করতেন বস্তুগত সম্পদ কখনোই মানুষকে সম্পদশালী বানাতে পারে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড