অধিকার ডেস্ক ২৮ জুন ২০১৮, ১৫:৪৭
ইসলামের কী সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। দীর্ঘ একটি মাস রোযা রাখার পর ঈদের আনন্দ উপভোগ করলাম। ঈদের আনন্দ শেষ করতে না করতেই চলে এলো হজের নির্দেশ। বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে ইসলামি চেতনা, ঈমানি জযবা, ঐক্য ও সংহতি স্থাপনের লক্ষ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারী মু’মিন ব্যক্তির উপর হজ জীবনে একবার ফরজ করা হয়েছে।
হজ শব্দটি আরবী, এর শাব্দিক অর্থ- ইচ্ছা ও অভিপ্রায় করা, সাক্ষাত করা, পবিত্র বস্তুর প্রতি ইচ্ছা পোষণ করা।
ইসলামী পরিভাষায়, ইসলামের একটি মহান রুকন আদায় করার নিমিত্তে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নৈকট্য লাভের আশায় কুরআন-সুন্নাহ্ অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু কাজ নির্দিষ্ট সময়ে বায়তুল্লাহিল হারামে সম্পাদন করাকেই হজ বলা হয়।
হজ ফরজ হওয়ার সময় কাল-
হজ কখন ফরয হয়েছে, এ ব্যাপারে মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। সর্ব প্রশিদ্ধ মত হলো, ইমামুল হারামাইন ও ইবনুল জুযীর মতে, হজ ৯ম হিজরীতে ফরয হয়েছে। তাদের দলিল হচ্ছে নিম্নোক্ত আয়াত,
মহান আল্লাহর বাণী- তার মধ্যে প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহ বিদ্যমান রয়েছে, মাকামে ইবরাহীম উক্ত নিদর্শনসমূহের অন্যতম,আর যে এতে প্রবেশ করে সে নিরাপত্তা প্রাপ্ত হয় এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ করা সেসব মানুষের কর্তব্য যারা সেখান পর্যন্ত পৌঁছার সামার্থ্য রাখে এবং যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৃষ্টিকুলের মুখাপেক্ষী নন।
এ আয়াতটি নবম হিজরীতে নাযিল হয়েছে। সে বছর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবূ বাকর (রাঃ) কে হাজীদের আমীর নিযুক্ত করে হজ্জব্রত পালনের জন্যে পাঠান, পরবর্তী বছর তথা ১০ম হিজরীতে তিনি নিজে হজ সম্পাদন করেন।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে বায়তুল্লাহিল হারাম যিয়ারাত করার তৈফিক দান করেন। আমিন।
লেখক : শাইখ শফিকুল ইসলাম, ইসলামি লেখক ও গবেষক, সাবেক প্রিন্সিপাল মারকাজ আবু বাকর সিদ্দীক(রাঃ) কিশোরগঞ্জ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড