ধর্ম ডেস্ক
মানত দুই প্রকার। একটা শর্তযুক্ত, আরেকটা শর্তমুক্ত। যেমন, শর্তযুক্ত মানত হলো আমার এই কাজটা হয়ে গেলে আমি ১০টা রোজা রাখব, এতো রাকাত নফল নামাজ পড়ব। শর্তবিহীন মানত হলো কোনো কিছু করার আগে আল্লাহ্র সাহায্যের আশায় কিছু নফল আমল, দান করা ইত্যাদি। মানত করলে কাজটা করা জরুরি (ওয়াজিব) হয়ে যায়।
শর্তযুক্ত মানত অর্থ হলো আল্লাহকে দিতে বাধ্য করার মতো ব্যাপার যা তাক্বওয়ার খেলাফ। এই জাতীয় মানত পরিহার করাই শ্রেয়। আর মানত হতে হবে একমাত্র আল্লাহ্র জন্যই। কোনো পীর বা মাজারের নামে মানত করা সম্পূর্ণ হারাম ও শিরক।
মানত করাকে আল্লাহ্র রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। অতএব মানত করা ঠিক নয়। আমরা অনেকে বিপদ-আপদে পড়ে মানত করি, আর মনে করি এটা সওয়াবের কাজ। আল্লাহ খুশি হবেন। কিন্তু আসলে তা সওয়াবের কাজ নয়।
আল্লাহর রাসূল (সা.) যা করতে নিষেধ করেছেন তাতে আল্লাহ খুশি হবেন না এবং এতে কোনো সওয়াবও হয় না। তাই আমাদের উচিত হবে কোনো অবস্থায় মানত না করা। অবশ্য মানত করে ফেললে তা পালন করতেই হবে কারণ মানত করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা মানত করবে না। কেননা মানত তাকদীরের কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে সম্পদ খসায়। (সহিহ বুখারি, মুসলিম- ৪৩২৯, সহিহ সুনানে আত-তিরমিজি, সহিহ সুনানে নাসায়ি।)
মানত করা হোক বা না হোক, ফলাফল একই হবে। তাকদীরে যা লেখা আছে সেটাই আসবে অবধারিতভাবে। কিন্তু মানত করার পর মানত পুরো করার আগেই মৃত্যু এসে হাজির হলে তা মানতকারীর ঘাড়ে থেকে যাবে।
এ সকল বিষয় জানার পর কোনো মুসলিমের পক্ষে কোনো প্রকার মানত করা উচিত নয়। অনেকেই বলে থাকেন, অমুক জায়গায় মানত করলে অমুক কাজটা হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ শিরক। আর মাজার বা পীরের নামে কোনো কিছু মানত করা শিরক। কারণ, এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টির সঙ্গে অলী আওলিয়াদের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত থাকে।
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো ইবাদত করলে সেটা শিরক।
লেখক : সাজ্জাদ হোসাইন
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড