ধর্ম ডেস্ক
من اعتكف عشرا في رمضان كان كحجتين وعمرتين
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের দশ দিন ইতিকাফ করল সে যেন দুই হজ ও দুই উমরা করল।
পর্যালোচনা : হাদিসটি ইমাম বায়হাকী ‘আশ-শুআব’ গ্রন্থে হুসাইন বিন আলী হতে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসের সনদ দুর্বল। সনদে বর্ণনাকারীদের একজন মুহাম্মাদ বিন যাযান পরিত্যক্ত রাবী। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ.) বলেছেন, لا يكتب حديثه তার থেকে কেউ হাদিস লিখবে না। সনদে আরও রয়েছে আনবাসা ইবনে আব্দুর রহমান। তার সম্পর্কে ইমাম আবু হাতেম বলেন, كان يضع الحديث সে হাদিস জাল করত। [১] হাদিসটি প্রচার করা থেকে বিরত থাকা দরকার। [২]
পাঠক মহোদয়! হাদিসটিতে তো ১০ দিনের ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে, এবার লক্ষ্য করুন। শায়খুল হাদিস সাহেব তার ফাজায়েলে রমজানের ৫২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন :
আল্লামা শারানী (রহ.) বর্ণনা করেন, রমজানের ১ দিন ইতিকাফ করা দুই হজ ও ওমরার সমকক্ষ। এবং যে ব্যক্তি জামাতের মসজিদে মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত ইতিকাফ করে ও জিকির এবং তেলাওয়াত করে তাহার জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈয়ার করা হয়। অবশ্য শায়খ হাদিসটির কোনো সনদ বর্ণনা করেননি। এমনকি কোনো কিতাবের নামও উদ্ধৃতি উল্লেখ করেননি।
[১] সিলসিলা যঈফাহ ওয়া মাওযূআহ- ২/১০ (মাকতাবাতুল মাআরিফ, রিয়াদ : ১৪১২), [২] মাসিক আলকাউসার, ৩০৭৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর।
লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড