নিজস্ব প্রতিবেদক
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (আ) ও হযরত যায়নাব (স:) এর পবিত্র জন্মদিবস উপলক্ষে ঢাকায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আঞ্জুমানে মুমিনীনে বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে গত ৬ এপ্রিল ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন ক্বারী মো. আলতাফ হোসেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. মাহদী হোসেইনী ফায়েক এবং হুজ্জাতুল ইসলাম আব্দুল কুদ্দুস বাদশা।
অনুষ্ঠানে ড. মাহদী হোসেইনী ফায়েক বলেন, কোরআন মজীদের সূরা শুরার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ মুসলমানদেরকে নবীপরিবারকে ভালোবাসার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাই মহানবী (সা.)-এর পরিবার তথা আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
হুজ্জাতুল ইসলাম জনাব আব্দুল কুদ্দুস বাদশা বলেন, ইমাম হোসাইন (আ.) চতুর্থ হিজরির ৩রা শাবান জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের কারণে মহানবী (সা.) খুব আনন্দিত হন। তবে যেহেতু ওহীর ফেরেশতার মাধ্যমে মহানবী (সা.) জানতে পারেন যে, তার এই দৌহিত্রকে তার উম্মত হত্যা করবে সে কারণে তিনি ক্রন্দনও করেন। ফেরেশতাগণ পৃথিবীতে অবতরণ করে মহানবীকে মোবারকবাদ জানান এবং একই সাথে তারা মহানবীকে সান্তনাও দেন।
তিনি বলেন, ইমাম হোসাইনকে (আ.) কেন্দ্র করে শুধু কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা সম্পর্কে জানাই যথেষ্ট নয়, বরং ইমাম হোসাইন (আ.) পুরো জীবন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেন ইমাম হোসাইন (আ.) মহানবী (সা.) কর্তৃক ‘মুক্তির তরণী’ হিসেবে অভিহিত হয়েছেন তা জানার জন্য ইমাম হোসাইনের সমগ্র জীবনী অধ্যয়ন করা সকলের জন্যই জরুরি।
অনুষ্ঠানে হাম্দ পরিবেশন করেন জনাব রোকনুজ্জামাল কাজল এবং আহলে বাইতের শানে মনোজ্ঞ কাওয়ালি পরিবেশন করেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর ও তার দল।
ওডি/এআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড