• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আল কুরআনের কতিপয় নির্দেশনা

  ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

১১ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৭
আল কুরআন
ছবি : প্রতীকী

যারা পবিত্র কুরআন সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করবে তারাই নবী (সা.) এর অনুসারী, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নবী (সা.) কে অনুসরণের জন্য কুরআনের অনুসরণই যথেষ্ট, সেক্ষেত্রে হাদিসের অনুসরণের দরকার নেই।

তারপরও যদি কেউ এমনটি বলেন যে, দ্বীনের ক্ষেত্রে এই কুরআনই যদি একমাত্র দলিল হয় তাহলে এত কিতাব-পুস্তক বাজারে কীভাবে এলো? তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আল্লাহ বলেন- "দুভোর্গ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে উহা আল্লাহর নামে চালিয়ে দেয় এবং স্বল্প মূল্যে বাজারে বিক্রি করে।" (সুরা বাকারা ২:৭৯)

এই কুরআন বাদে দ্বীনের ক্ষেত্রে যত কিতাব বাজারে এসেছে এগুলো সব মানুষের রচিত। এগুলো দ্বীনের কোনো দলিল নয়, এগুলো পরিহারযোগ্য। এরপরও কিতাবিদের ভেতরে এমন অনেক লোক আছে যারা কুরআনের যে সকল আয়াতগুলোর অর্থ নিজেদের মতের বিরুদ্ধে যায়, যে সকল আয়াতগুলো সমাজে গোপন রাখে, জনসমাজে সেগুলো প্রকাশ করে না।

এদেরকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ বলেন যে- "আমি আমার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে কিতাবে ব্যক্ত করার পরও যারা সেগুলো গোপন করে তাদেরকে আল্লাহ অভিসম্পাত করেন বা লানত করেন" (সুরা বাকারা ২:১৫৯)

কাজেই কুরআনের কোনো আয়াত গোপন রাখা যাবে না। এরপরও কিছু লোক আছে যারা আয়াতের অর্থ এমনভাবে করে যে, যা এই কুরআনের অন্য আর একটি আয়াতের পরিপন্থী হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ঐ আয়াতটির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। তাদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ বলেন- "যারা আমার আয়াতকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তি জাহান্নাম" (সুরা হজ- ২২:৫১)

অনেকেই কোরআনোর আয়াতকে বিকৃত করে ভিন্ন অর্থে নিয়ে যায়। তাদের জন্য আল্লাহ বলেন, আমার আয়াত বিকৃতকারীর জন্য জাহান্নাম সুরা হামিম সিজদা ৪১:৪০/ সুরা বাকারা ২:৭৫। কাজেই নিজের মতো করে কুরআনের আয়াতের অর্থ করা যাবে না। বরং কোনো একটি বিষয়ের উপর কুরআনের সরল বুঝ লাভ করতে হলে ঐ বিষয়ের উপর যতগুলো আয়াত এই কুরআনে আছে সেই সকল আয়াতগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে এসে অর্থ করলে কুরআনের সঠিক এবং সরল অর্থ পাওয়া যাবে।

এজন্য কুরআন থেকে বিষয়ভিত্তিকভাবে আলোচনা করলে কোরআনের অপব্যাখ্যা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। সেক্ষেত্রে ইজমা, কিয়াস, ফিকাহ শাস্ত্র, মানবরচিত কিতাব ও হাদিসের কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে কুরআনের ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।

তারপরও যারা কোরআন প্রত্যাখ্যান করবে তাদের জন্য শাস্তি (সুরা সফফাত ৩৭:১৭০)। যারা এ কুরআনের দর্শন অপছন্দ করেন তাদের কর্মফল বিনষ্ট হবে। (সুরা মুহাম্মাদ ৪৭ঃ৯)

আমাদের উচিত মানবরচিত গ্রন্থ ভিত্তিক দ্বীনের বুঝ পরিহার করে বিষয় ভিত্তিক কুরআনের মাধ্যমে দ্বীনের সঠিক বুঝ ব্যক্তিজীবনে ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা।

লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ

ওডি/এনএম

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড