ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
আল-কুরআনে উল্লেখিত সকল নবী- রাসূলগণের উপদেশ ছিল তাকওয়া অবলম্বনের।
উলুল আযম প্রথম রাসূল হযরত নূহ (আ.) সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘নূহের সম্প্রদায় রাসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা নূহ (আ.) তাদেরকে বলল, তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না? (সুরা ২৬/ ১০৫-১০৬) তিনি আরও বলেন, ‘আদ-সম্প্রদায় রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা লুদ (আ.) তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’? (সুরা ২৬/ ১২৩-১২৬)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘খামুদ সম্প্রদায় রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল’। যখন তাদের ভ্রাতা ছালিহ (আ.) তাদেরকে বলল, তোমরা কি তাকওয়াশীল হবে না? (সুরা ২৬/ ১৪১-১৪২) রব্বুল আলামীন আরও বলেন, ‘লুতের সম্প্রদায় রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা লুত তাদেরকে বলল, তোমরা কি ভয় করবে না? (সুরা ২৬/ ১৬০- ১৬০)
উলুল আযম মুসা (আ.) সম্পর্কে রব্বুল আলামীন বলেন, ‘স্বরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মুসাকে ডেকে বললেন, তুমি জালিম সম্প্রদায়ের নিকট যাও, ফিরাউন সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না? (সুরা ২৬/১০-১১)
এমনিভাবে যাকারিয়া (আ.) ও তার পরিবার- পরিজনের প্রসংশা করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত, তারা আমাকে ডাকতো আল্লাহ ভীতির সাথে এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত’। (আম্বিয়া ২১/৯০) শু‘আইব (আ.) (শু‘আরা ২৬/ ১৭৬-১৭৯) ইলিয়াস (আ.) (সাফাফাত ৩৭/ ১২৩-১২৪) ঈসা (আ.) (আল ইমরান- ৩/৫০) হযরত মুহাম্মদ (স) (আলাক্ব ৯৬/১১-১২)।
তাকওয়ার গুরুত্ব-
১। তাকওয়া বান্দার জন্য সর্বোত্তম ভূষণ। (আরাফ ৭/ ২৬)
২। মুমিনের জীবনের ভিত্তি স্থাপন হবে তাকওয়ার ওপর। (তওবা ৯/১০৯)
৩। তাকওয়া মুমিনের সর্বোত্তম পাথেয়। (বাকারা ২/ ১৯৭)
৪। তাকওয়াই আল্লাহর অলী বা বন্ধু চেনার উপায়। (ইউনুস ১০/৬২-৬৩, জাসিয়া ৪৫/১৯) ওহাবী, মাক্কী, মাদানী, দেওবন্দী, বেরলভী, সুন্নি নামধারিদের মধ্যে নয়।
৫। তাকওয়া হলো মর্যদার মাপকাঠি, খাটিপকট নয়। (হুজরাত ৩৯/১৩)
৬। তাকওয়া হলো সকল ইবাদাতের সারবস্তু। (হজ্জ- ২২/৩৭)
৭। তাকওয়া দ্বারা বান্দা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হয়। (আরাফ ৭/১৫৬)
৮। তাকওয়াই জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায়। (মারইয়াম ১৯/ ৭১-৭২)
৯। তাকওয়াই জান্নাত লাভের মাধ্যম। (আয জুমার ৩৯/৭৩)
১০। তাকওয়ার কাজে সহযোগিতা করা মুমিনদের পরস্পরের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ। (মায়িদা ৫/২)
১১। তাকওয়া না থাকলে তার আমল কবুল করেন না। (মায়িদা ৫/ ২৭)
১২। তাকওয়াই মুমিনদেরকে শয়তানের শয়তানি ধরিয়ে দেয়। (আরাফ ৭/ ২০১)
১৩। তাকওয়াই হক বাতিল নির্ণয়ের কষ্টি পাথর। (আনফাল ৮/ ২৯)
১৪। তাকওয়ার দ্বারাই পরকালীন জীবনে আল্লাহ তা’আলার থেকে কল্যাণ লাভ হয়। (যুখরুফ ৪৩/৩৫)
১৫। তাকওয়াই দুনিয়ার জীবনে জনপদবাসীর কল্যাণ লাভের উপয়। (আরাফ ৭/ ৯৬)
লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড