অধিকার ডেস্ক ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৫
অথর্ববেদের ১২, ১৩ ও ১৪ নং শ্লোকে এ ঋষিকে (হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে) মহামানব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রতি দরূদ বা প্রশংসা বাণী পাঠ করা হয়। বৈদিক ধর্মে এমন কোনো ঋষি বা অবতারের অস্তিত্ব কোনো কালেই ছিল না।
১২ নং শ্লোক-
ইহ গাবঃ প্রজায়ধ্বমিহাশ্বা ইহ পুরুষাঃ ইহো সহস্রাদিক্ষণ নো হপি পুষা নিষীদতি
অর্থ= গাভী, অশ্ব আর যত মনুষ্যগণ গুণিতক হারে হেথা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হন, কেননা এখানে শাসন করেন যিনি অতীব সুন্দর আর উদার তিনি। দানে ও যজ্ঞতে করেন সহস্রদান অতীব উদার তিনি অতীব দয়াবান।
আগের পর্ব পড়তে : বৈদিক ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) (৫ম পর্ব)
১৩নং শ্লোক-
নেমা ইন্দ্র গাবো বিষন মো আসাং রীরিষৎ মাসাম মিত্রয়ুর্জন ইন্দ্র মা স্তেন ঈশত
অর্থ= গাভীগুলো হোক দৃঢ় তাদের প্রভুগণ, ক্ষতিগ্রস্ত তারা যেন না হয় কখনো। ওহে ইন্দ্র যেন কোনো শত্রুও তস্করে, তাদের পরাস্ত করতে নাহি পারে।
অর্থাৎ ১২ ও ১৩ নং শ্লোকে এ ঋষির রাজ্যে মানুষ ও পশুপাখির জীবনে সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রে সকল মানুষ ও পশুপাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। এমন কি তিনি পশুপাখিদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে নিষেধ করেছিলেন।
১৪ নং শ্লোক-
উপ নোর রমসি সূত্তেন বচসা বয়ং ভদ্রেন বচসা বয়ম বনা দধিদ্বনো গিরোন রিষ্যেম কদা চন।
অর্থ= সেই মহাবীরের মোরা প্রশংসা করিব সুমধুর গানে যশ কীর্তন করিব। দয়া করি গ্রহণ কর প্রশংসা মোদের ঐ হাতে অনিষ্ট নাহি হয় আমাদের।
অর্থাৎ ১৪ নং শ্লোকে সেই ঋষিকে বীরযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করে তাঁর প্রতি সালাম জানানো হয়েছে। মুসলমানগণ প্রতি ওয়াক্তের নামাযের মধ্যে নবীর উপর দরূদ পাঠ করেন, নবীর প্রশংসা ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না।
এভাবে অথর্ববেদের কুন্তপ সূক্তে যে ঋষি বা অবতারের কথা বলা হয়েছে তিনি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া আর কেহ নন। কেননা ভারতে এমন কোনো ঋষি বা অবতারের অস্তিত্ব কোনো কালেই ছিল না। (বৈদিক ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ (সা.)- ৩৫৫ পৃ)
লেখক : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, ইমাম ও খতীব।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড