অধিকার ডেস্ক ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০০
অথর্ববেদের ৮ ও ৯ নং শ্লোকে এ ঋষিকে (হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে) রাজা রুপে ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি রাজক্ষমতা পেয়ে সকলের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করবেন।
৮ নং শ্লোক-
পরিচ্ছন্নঃ ক্ষেমমকরোৎ তম আসনমাচরণ বৃলায়ন কুম্বন কৌরব্যঃ পতির্বদতি জায়য়া।
অর্থ- সকলরে করেন তিনি আশ্রয় প্রদান সিংহাসনে বসিয়ে জগতকে শান্তি দান। শান্তি স্থাপনের কথা কুরুবাসী যারা গৃহ নির্মাণ কালে বলিতেছে তারা।
৯ নং শ্লোক-
কতরৎ তে আহরাণি দধি মন্থাং পরিশ্রুতম জায়াঃ পতিং বি পৃচ্ছতি রাষ্টেধ রাজ্ঞঃ পরিক্ষিত।
অর্থ- রাজার রাজত্ব মাঝে যদি সে রাজন সকলে করেন রক্ষা, করেন শান্তি স্থাপন একজন স্ত্রী তার স্বামীকে জিজ্ঞাসেন তার সম্মুখে দধি করবে কি স্থাপন?
অর্থাৎ ৮ এবং ৯ নং শ্লোকে এমন ঋষিকে রাজা রুপে ঘোষণা করা হয়েছে যার রাজ্যে এমন সুশাসন ও শান্তি বিরাজ করবে যে, একজন নারী ও দিন-রাত্রি নির্বিঘ্নে বাজার করে ঘরে ফেরত আসতে পারবে। তার কোন ক্ষতির আশংকা নেই। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদীনা ভিত্তিক যে রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন সে রাষ্ট্রে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম নারী-পুরুষের সমান অধিকার ঘোষণা করা হয়।
এমনকি সকল ধর্মের লোকদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে নারী তার সম্পত্তিতে অধিকার ফিরে পান এবং মদীনায় নারীরা অবাধে চলাফেরা করতে পারেন।
১০ নং শ্লোক-
অভীবস্বঃ প্রজিহীতে যবঃ পক্বঃ পথো বিলম, জনঃস ভদধমেধতি রাষ্টেধ রা৩⁄৪ঃ পরিক্ষিতঃ
অর্থ- পক্ক যব ফাটল স্থানে উৎপন্ন হয় আকাশের দিকে যায় উন্নত হয়ে যে রাজা সকলকে করেন আশ্রয় প্রদান সমৃদ্ধি লাভ করে তার করে প্রজাগণ।
১১ নং শ্লোক-
ইন্দ্রঃ কারুমবূবুধদুত্তিষ্ট বিচরা জনম মমেদুগ্রস্য চর্কূধি সর্ব ইৎতে পৃণাদরিঃ।
অর্থ- স্তুতিকারী গায়ককে ইন্দ্র জাগাইয়া দিয়া চতুর্দিকে লোকদের কাছে দিলেন পাঠাইয়া। ইন্দ্রের মাহাত্ন কীর্তন করতে বলিলেন যাহাতে ধার্মিকগণ ইহাতে জানিতে পারেন। তাহা হইলে ঈশ্বর তাকে করবেন পুরস্কৃত ইন্দ্রের মাহাত্ম্য যদি হয় প্রচারিত।
অর্থাৎ ১০ নং শ্লোকে এমন এক রাজার কথা বলা হয়েছে যিনি শত্রু-মিত্র সকলকে আশ্রয় দান করিবেন। মক্কা বিজয়ের পর হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার শত্রুদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
১১ নং শ্লোকে আল্লাহর বাণী সকলের মাঝে প্রচার করতে বলা হয়েছে। তিনি মানুষের মাঝে পবিত্র কুরআনের বাণী প্রচারের জন্য দেশ-বিদেশের শাসক ও জনগনের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। যাতে মানুষ কুরআনের বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পারে।
১০ নং শ্লোকে “পরিক্ষিত” নামে সংস্কৃত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ ঐশ্বর্যশালী রাজা। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হওয়ায় তিনি ছিলেন ঐশ্বর্যশালী রাজা বা “পরিক্ষিত”। (বৈদিক ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) : ৩৪৫-৩৫২-৩৫৩ পৃঃ)
লেখক : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, ইমাম ও খতীব।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড