অধিকার ডেস্ক
পবিত্র কুরআন শিক্ষায় কোনো প্রকার অবহেলা করা যাবে না।
কুরআন শিক্ষা ফরজ:
প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করবে তাকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা করতে হবে।
কুরআন শিক্ষা করা এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা কুরআন শিক্ষা করা ফরজ করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﭐﻗۡﺮَﺃۡ ﺑِﭑﺳۡﻢِ ﺭَﺑِّﻚَ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ
অর্থ: ‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা: আলাক, আয়াত: ১)।
আল্লাহ তায়ালা ইমানদার বান্দাহদের ওপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া সালাত আদায় হয় না। সালাত আদায় করার জন্যও কুরআন শিখতে হবে।
কুরআনের বলা হয়েছে,
فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ
অর্থ: ‘অতএব তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়’ (সূরা: আল-মুযযামমিল, আয়াত: ২০)।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ﻻََ ﺻَﻼَﺓَ ﻟِﻤَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﻘْﺮَﺃْ ﺑِﻔَﺎﺗِﺤَﺔِ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়ে না তার সালাতই হয় না’। (সহিহ বুখারি:৭৫৬)।
আরও পড়ুন : কুরআন শিক্ষার আসর (পর্ব ৫১)
পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে,
ﺇِﻥَّ ﻫَٰﺬَﺍ ﭐﻟۡﻘُﺮۡﺀَﺍﻥَ ﻳَﻬۡﺪِﻱ ﻟِﻠَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﻗۡﻮَﻡُ
অর্থ: ‘নিশ্চয় এ কোরআন এমন পথ-প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল ও সঠিক।’ (সূরা: বনি-ইসরায়েল, আয়াত:০৯)।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ (সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০)।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘কুরআনের বিষয়ে তোমাদের ওপর অবশ্য পালনীয় এই যে, কুরআন শিক্ষা করা এবং তোমাদের সন্তানদের কুরআন শিক্ষা দেওয়া। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এবং তার প্রতিদানও দেয়া হবে।’ (শরহে সহিহ বুখারি, ইবন বাত্তাল: ৪৬)।
অতএব, আপনি কি নিজেকে বদলাতে চান? জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে চান? আপনি কি মরেও অমর হয়ে থাকতে চান? সর্বোপরি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনি যদি সফল হতে চান; তাহলে আজ থেকেই যুক্ত হোন পবিত্র কুরআন শিক্ষার এই আসরে।
সূরা আল বাকারা (আরবি ভাষায়: سورة البقرة)। এটি পবিত্র কুরআনুল কারিমের দ্বিতীয় সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি এবং রূকুর সংখ্যা ৪০টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(২৬৬)
أَيَوَدُّ أَحَدُكُمْ أَن تَكُونَ لَهُ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ لَهُ فِيهَا مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَأَصَابَهُ الْكِبَرُ وَلَهُ ذُرِّيَّةٌ ضُعَفَاء فَأَصَابَهَا إِعْصَارٌ فِيهِ نَارٌ فَاحْتَرَقَتْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ
অর্থ: তোমাদের কেউ পছন্দ করে যে, তার একটি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হবে, এর তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে, আর এতে সর্বপ্রকার ফল-ফসল থাকবে এবং সে বার্ধক্যে পৌঁছবে, তার দুর্বল সন্তান সন্ততিও থাকবে,
এমতাবস্থায় এ বাগানের একটি ঘূর্ণিবায়ু আসবে, যাতে আগুন রয়েছে, অনন্তর বাগানটি ভস্মীভূত হয়ে যাবে? এমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন-যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা কর।
(২৬৭)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ الأَرْضِ وَلاَ تَيَمَّمُواْ الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِآخِذِيهِ إِلاَّ أَن تُغْمِضُواْ فِيهِ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
অর্থ: হে ইমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত।
(২৬৮)
الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِالْفَحْشَاء وَاللّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلاً وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশি অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।
(২৬৯)
يُؤتِي الْحِكْمَةَ مَن يَشَاء وَمَن يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الأَلْبَابِ
অর্থ: তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।
(২৭০)
وَمَا أَنفَقْتُم مِّن نَّفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُم مِّن نَّذْرٍ فَإِنَّ اللّهَ يَعْلَمُهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
অর্থ: তোমরা যে খয়রাত বা সদ্ব্যয় কর কিংবা কোনো মানত কর, আল্লাহ নিশ্চয়ই সেসব কিছুই জানেন। অন্যায়কারীদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
দোয়া: হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার সন্তুষ্টি অর্জন করতে, তোমাকে ভালভাবে জানতে, সঠিক পথের দিশা পেতে এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হতে নিয়মিত পবিত্র কোরানের ০৫টি আয়াত অর্থসহ পড়ছি। তুমি আমাদের এ আমলটিকে কবুল করে নাও। এবং শয়তানের শয়তানি ও বদনজর থেকে হেফাজত রাখো। আমিন।
সূত্র : ইকরা নিউজ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড