অধিকার ডেস্ক
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে পারি। কারণ কঠিন কিয়ামতের দিন এই কুরআন আমাদের জন্য সুপারিশকারী হবে।
জান্নাতেও কুরআনের ধারকদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, (কিয়ামতে) কুরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে, কুরআন পাঠ করতে করতে ওপরে উঠতে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে-সুস্থে পাঠ করতে সেভাবে পাঠ করো।
কেননা তোমার তেলাওয়াতের শেষ আয়াতেই (জান্নাতে) তোমার বাসস্থান হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৬৪)।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ (সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০)।
আরও পড়ুন : কুরআন শিক্ষার আসর (পর্ব-২০)
অতএব, আপনি কি নিজেকে বদলাতে চান? জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে চান? আপনি কি মরেও অমর হয়ে থাকতে চান? সর্বোপরি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে আজ থেকেই যুক্ত হোন আমাদের পবিত্র কুরআন শিক্ষার এই আসরে।
পবিত্র কুরআন শিক্ষার আসরের ধারাবাহিক আলোচনায় আজ থাকছে সূরা আল বাকারার ১১১-১১৫ নম্বর পর্যন্ত আয়াত।
সূরা আল বাকারা (আরবি ভাষায়: سورة البقرة)। এটি পবিত্র কুরআনুল কারিমের দ্বিতীয় সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি এবং রূকুর সংখ্যা ৪০টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(১১১)
وَقَالُواْ لَن يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلاَّ مَن كَانَ هُوداً أَوْ نَصَارَى تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ قُلْ هَاتُواْ بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
অর্থ: ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রিস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।
(১১২)
بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِندَ رَبِّهِ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থ: হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
(১১৩)
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ অর্থ: ইহুদীরা বলে, খ্রিস্টানরা কোনো ভিত্তির ওপরেই নয় এবং খ্রিস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোনো ভিত্তির ওপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতোই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।
(১১৪)
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَاجِدَ اللّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا أُوْلَـئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَا إِلاَّ خَآئِفِينَ لهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে।
(১১৫)
وَلِلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللّهِ إِنَّ اللّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।
আজকে যা জানলাম ও শিখলাম-
যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেছে তার জন্য রয়েছে পুরস্কার। পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। তোমরা যেদিকে মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান।
দোয়া: হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার সন্তুষ্টি অর্জন করতে, তোমাকে ভালভাবে জানতে, সঠিক পথের দিশা পেতে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে নিয়মিত পবিত্র কুরআনের ০৫টি আয়াত অর্থসহ পড়ছি। তুমি আমাদের এ আমলটিকে কবুল করে নাও। এবং শয়তানের শয়তানি ও বদনজর থেকে হেফাজত রাখো। আমিন।
সূত্র : ইকরা নিউজ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড