• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুরআন শিক্ষার আসর (পর্ব-৩)

  অধিকার ডেস্ক

২৬ জুন ২০২০, ১০:৪৩
কুরআন শিক্ষার আসর (পর্ব-৩)
পবিত্র কুরআন মাজিদ (ছবি : সংগৃহীত)

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে অনেক উপকারিতাও রয়েছে।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ (সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০)।

আপনি কি নিজেকে বদলাতে চান? জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে চান? আপনি কি মরেও অমর হয়ে থাকতে চান? সর্বোপরি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে আজ থেকেই যুক্ত হোন আমাদের কুরআন শিক্ষার এই আসরে।

পবিত্র কুরআনের ১০টি আয়াত নিয়ে ধারাবাহিকভবে আমাদের কুরআন শিক্ষার এ আলোচনা চলবে। ইনশাআল্লাহ!

কুরআন শিক্ষার আসরে আজ থাকছে পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা আল বাকারার ধারাবাহিক আলোচনা।

সূরা আল বাকারা (আরবি ভাষায়: سورة البقرة)। এটি পবিত্র কুরআনুল কারিমের দ্বিতীয় সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ৪০টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

সূরা আল বাকারা ১১-২০ আয়াত...

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(১১)

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لاَ تُفْسِدُواْ فِي الأَرْضِ قَالُواْ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।

(১২)

أَلا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَـكِن لاَّ يَشْعُرُونَ

মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।

(১৩)

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُواْ كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُواْ أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاء أَلا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاء وَلَـكِن لاَّ يَعْلَمُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কী ঈমান আনব বোকাদেরই মতো! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।

(১৪)

وَإِذَا لَقُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ قَالُواْ آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْاْ إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُواْ إِنَّا مَعَكْمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِؤُونَ

আর তারা যখন ঈমানদারদের সঙ্গে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সঙ্গে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সঙ্গে) উপহাস করি মাত্র।

(১৫)

اللّهُ يَسْتَهْزِىءُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ

বরং আল্লাহই তাদের সঙ্গে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।

(১৬)

أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ اشْتَرُوُاْ الضَّلاَلَةَ بِالْهُدَى فَمَا رَبِحَت تِّجَارَتُهُمْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুত: তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।

(১৭)

مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَاراً فَلَمَّا أَضَاءتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لاَّ يُبْصِرُونَ

তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মতো, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।

(১৮)

صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ

তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।

(১৯)

أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاء فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصْابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ واللّهُ مُحِيطٌ بِالْكافِرِينَ

আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মতো যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্টিত।

(২০)

يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ كُلَّمَا أَضَاء لَهُم مَّشَوْاْ فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُواْ وَلَوْ شَاء اللّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ إِنَّ اللَّه عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের ওপর সর্বময় ক্ষমতাশীল।

আজকে যা শিখলাম-

কিছু মানুষ আছে সর্বদা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে লিপ্ত থাকে, অথচ তারা বলে বেড়ায় তারা নাকি একটি সুন্দর সমাজ গঠনের চেষ্টা করছে। মূলত: তারাই যতো নষ্টের মূল। তাদেরকে ভালো পথে চলতে কেউ উপদেশ দিলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। সমাজে যারা সত্যিকারের ভালো মানুষ তাদেরকে তারা বোকা মনে করে। আসলে তারাই যে সবচেয়ে বড় বোকা তাও তারা জানে না।

আরও পড়ুন : কুরআন শিক্ষার আসর (পর্ব-২)

সমাজের ওই দুষ্টু লোকগুলো সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করে। ভালো মানুষের সঙ্গে সাধু সাজে আবার খারাপ মানুষের সঙ্গে চলার সময় তাদের আসল রূপ বেরিয়ে যায়। আসলে তাদের চিন্তা শক্তি লোপ পেতে থাকে। উদ্ভ্রান্তের ন্যায় তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। এভাবে চলতে চলতে একসময় তারা বুঝতে পারে না কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয়। মহান রব বলেন, ... সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।

চলবে...

সূত্র : ইকরা নিউজ

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড