অধিকার ডেস্ক ১১ আগস্ট ২০১৮, ২২:৩১
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জিলহজ মাস ও কোরবানি সম্পর্কিত আমল-
আল্লাহ্র নিকট পৌঁছানো ওদের (কোরবানির) গোশত বা রক্ত, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। (সূরা আল হজ- ৩৭)
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল অন্যান্য দিনের আমলের তুলনায় উত্তম। (বুখারি)
জিলহজ মাসের চাঁদ উদয়ের পর হতে ১৩ই জিলহজ পর্যন্ত সালাতের পরে, ঘরে, বিছানায়, মাজলিসে এবং চলার পথেও তাকবীর পাঠ করতে হয়। (বুখারী) তাকবীর হল-"আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।" (ইরওয়া)
রাসূল (সা.) জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন সিয়াম (রোজা) পালন করতেন। (আবু দাউদ)
আরাফার দিনের সিয়াম (রোজা) এর বিনিময়ে আল্লাহ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী এক বছরের পাপ মার্জনা করে দিবেন। (আবু দাউদ)
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত চুল ছাটা ও নখ কাটা নিষেধ। (মুসলিম)
নবী (সা.) কোরবানির দিন না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং ফিরে এসে (কোরবানির গোশত দ্বারা) আহার করতেন। (তিরমিযী)
রাসূল (সা.) বালিকা, তরুণী, গৃহিণী, যুবতী সকল মহিলাকেই ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য আদেশ করেছেন। (বুখারী)
ঈদের শুভেচ্ছায় আমরা যা বলবো-
সাহাবীরা ঈদের দিন পরস্পর দেখা হলে বলতেন- "তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।" (অর্থ- আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের পক্ষ থেকে (ঈদুল আযহার) এ আমলটি কবুল করুন)। (ফিকহুস সুন্নাহ)
সংকলন : ড. ইঞ্জিঃ মোশাররফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড