মুনশি আমিনুল ইসলাম
করোনা ভাইরাসের কারণে পাকিস্তান, কুয়েত ও আরব আমিরাত আজানের শব্দে পরিবর্তন এনেছিল। এবার সে তালিকায় নাম লেখাল পবিত্র নগরী মক্কা। দুর্যোগের কারণে আজানে পরিবর্তন করা যেতে পারে। সহিহ হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মুয়াজ্জিনকে তা করতেও বলেছেন। হাদিসে দুটি শব্দ এসেছে। তার একটি হলো ‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম। আর অন্যটি হলো ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’। পবিত্র মক্কা নগরীর আজানে ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদিসে আজানের শব্দ পরিবর্তন করে নামাজের জন্য আহ্বান করার কথাও রয়েছে। যদি কোনো অঞ্চলে আবহাওয়াজনিত প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঝড়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কুয়াশায় অথবা মহামারি দেখা দেয় তবে সেসব অঞ্চলের আজানের শব্দে পরিবর্তন করা যেতে পারে মর্মে অনেক হাদিসে বর্ণনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে- প্রচণ্ড এক শীতের রাতে হজরত ইবনে ওমর (রা.) যাজনান নামক স্থানে আজান দিলেন। অতপর তিনি ঘোষণা করলেন-
صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ
‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও।’
পরে তিনি সবাইকে জানালেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে নামাজ আদায় কর।’ (সহিহ বুখারি :৬৩২)
অন্যত্র ইবনু আববাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর মুয়াজ্জিনকে এক প্রবল বর্ষণের দিনে বললেন, যখন তুমি (আজানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ বলবে, তখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না; বলবে- ‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম’ (তোমরা নিজ নিজ বাসগৃহে নামাজ আদায় কর)। তা লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেন- আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিই (রাসুলুল্লাহ সা.) তা করেছেন। জুমা নিঃসন্দেহে জরুরি। আমি অপছন্দ করি তোমাদের মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলতে। (সহিহ বুখারি :৯০১)
সুতরাং মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে কুয়েত, আরব আমিরাত, পাকিস্তানের পর পবিত্র নগরী মক্কায় আজানের শব্দ পরিবর্তনে কোনো অসুবিধা নেই। হাদিসের আলোকে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় আজানের শব্দ পরিবর্তন করা যায়। আজানের শব্দ পরিবর্তন সহিহ হাদিসেরই আমল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড