মুনশি আমিনুল ইসলাম
পবিত্র কুরআনে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কিত আয়াত প্রচুর। তবে এ ক্ষেত্রে আপন পরিবার-পরিজন সর্বাধিক হকদার। নামাজের প্রতি তাদের আহ্বান করতে হবে সর্বাগ্রে। কারণ, তাদের ব্যাপারে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞেস করা হবে। পরিবারের কেউ বেনামাজি হলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই পরিবারকে আগে নামাজের আহ্বান করা ফরজ। আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদের নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন।’ (সুরা ত্বহা :১৩২)
সৎকাজের আদেশ দেওয়া ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। নামাজ যেহেতু অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৎকাজ তাই পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে নামাজের প্রতি আহ্বান করা ঈমানি দায়িত্ব। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা এমন লোক যাদের আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করলে নামাজ কায়েম করবে, জাকাত দেবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে আর অসৎ কাজে নিষেধ করবে। আর সব কাজের চূড়ান্ত পরিণাম আল্লাহর ইচ্ছাধীন।’ (সুরা হজ :৪১)
সুতরাং অন্যকে নামাজের আহ্বান করার আগে নিজের পরিবার-পরিজনকে নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা জরুরি। এক হাদিসে রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও এবং দশ বছর বয়সে নামাজের জন্য কঠোর শাসন করো।’ (আবু দাউদ :৪৯৫)
সন্তানের চরিত্র গঠনে নামাজের চেয়ে বড় মাধ্যম হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত :৪৫) সন্তান সঠিকভাবে নামাজ পড়ায় অভ্যস্ত হলে, অশ্লীলতা ও পাপাচারের দিকে ধাবিত হবে না। নামাজ মন্দকাজ থেকে তাকে বিরত রাখবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড