ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
ধর্মীয় ওয়াজ-মাহফিল বা আলোচনার সাউন্ড মূল অনুষ্ঠানস্থলে সীমাবদ্ধ রাখাই যৌক্তিক। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে মাইক লাগিয়ে অন্যদের শুনতে বাধ্য করা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। ওয়াজ মাহফিলে প্যান্ডেলের বাইরে মাইক বড়জোর রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকতে পারে। এরপর শুধু প্যান্ডেলের ভেতরের সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা উচিত। কারণ, গভীর রাত পর্যন্ত বাইরের মাইক ব্যবহারের কারণে অন্য ধর্মের অনুসারী কিংবা ঘুমন্ত মানুষ, শিশু, অসুস্থ লোক এবং পরীক্ষার্থী; এমনকি মাহফিলের আশপাশের মানুষদের জরুরি প্রয়োজনে মোবাইলে কথাবার্তা বলাও দুরূহ হয়ে যায়।
কারো ক্ষতি করে, কাউকে কষ্ট দিয়ে এভাবে ‘ইসলাম প্রচার’ কোনোভাবেই শরিয়তে অনুমোদিত নয়। এমন অযৌক্তিক কাজে বহু সাধারণ মানুষ বরং ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন; এবং হচ্ছেনও। জনাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে ইতিকাফকালে সাহাবিদেরকে উচ্চস্বরে কেরাত পড়তে শুনে পর্দা সরিয়ে বললেন, জেনে রাখো! তোমাদের প্রত্যেকেই স্বীয় রবের সাথে চুপিসারে আলাপরত আছ। কাজেই তোমরা পরস্পরকে কষ্ট দিও না এবং পরস্পরের সামনে কেরাতে বা সালাতে আওয়াজ উঁচু করো না। (সুনান আবু দাঊদ, সালাত অধ্যায়, হাদিস নং ১৩৩২)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, তুমি প্রতি জুমায় মুসল্লিদের হাদিস শোনাবে। যদি এতে তুমি ক্লান্ত না হও তবে সপ্তাহে দুবার। আরও অধিক করতে চাও, তবে তিনবার। আরও অধিক নসিহত করে এ কুরআনের প্রতি মানুষের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করো না। লোকেরা তাদের কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তুমি তাদের কাছে এসে তাদের নির্দেশ দেবে- আমি যেন এমন অবস্থায় তোমাকে না পাই। কারণ, এতে তাদের স্বাভাবিক কথাবার্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং তারা বিরক্তবোধ করবে। বরং তুমি এ সময় নীরব থাকবে। যদি তারা আগ্রহ নিয়ে তোমাকে নসিহত করতে বলে, তাহলে তুমি তাদের নসিহত করবে। (সহিহ বুখারি, অধ্যায় দুয়াসমূহ, হাদিস নং ৬৩৩৭)
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড