• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তাজিকিস্তানে উদ্বোধন হচ্ছে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ

  ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৭
ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর ছাদ খ্যাত পামির মালভূমির দেশ তাজিকিস্তান। দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তর ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন এবং দক্ষিণে আফগানিস্তান। সেই তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ।

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কাতারের আমিরের উপস্থিতিতে মসজিদটি উদ্বোধন হওয়া কথা ছিল। কিন্তু তার সফর স্থগিত হওয়ার কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম শুক্রবার জুমার নামাজ শুরুর মাধ্যমে মসজিদ উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে এটিই একমাত্র দেশ, যেখানে ইসলাম ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ধর্মের মর্যাদা লাভ করে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের হিসাব মতে, দেশটির জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ মুসলমান যাদের ৯৫ শতাংশ সুন্নি এবং ৩ শতাংশ শিয়া। এছাড়া রয়েছে কিছু সুফিবাদী। সুন্নিদের অধিকাংশই হানাফি মাজহাবের অনুসারী।

তাজিকিস্তানে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে সপ্তম শতাব্দীতে আরবদের মাধ্যমে। সে সময় থেকেই ইসলাম তাজিক সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়। তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেখানে ধর্মচর্চার ব্যাপক প্রসার লাভ করে। জনগণকে বেশি বেশি ধর্ম পালনে মনোযোগী দেখা যায়। এমনকি পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালনকারীর সংখ্যা ৯৯ শতাংশে গিয়ে পৌঁছে।

তাজিকিস্তানের জনগণ ধর্মভীরু এবং তারা নিজেদের মতো ধর্মচর্চা করার সুযোগ পান। তবে ২০০৫ সালে দেশটির সেক্যুলার স্কুলগুলোয় মেয়েদের হিজাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশটির মহিলারা নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে হিজাব পরে থাকেন।

রাজধানী দুশানবেতে শতাধিক মসজিদ রয়েছে। দেশটির গ্র্যান্ড মসজিদের নাম ইমাম আবু হানিফা মসজিদ। এখন পর্যন্ত তাজিকিস্তানে এটাই সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল। তবে নতুন মসজিদ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইমাম আবু হানিফা মসজিদ বড় মসজিদের শ্রেষ্ঠত্ব হারাতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের অক্টোবরে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদের নকশা করেছেন তাজিকিস্তান এবং কাতারের পেশাদার ডিজাইনাররা। নকশায় পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের ছাপ রয়েছে।

নবনির্মিত মসজিদে বড় চারটি মিনার, একটি বড় প্রধান গম্বুজ এবং ২০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। মসজিদে একসঙ্গে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটি দুশানবের উত্তরের উপকূলে অবস্থিত। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি গ্রন্থাগার, একটি সংগ্রহশালা ও বড় সভাকক্ষ রয়েছে। পুরো প্রকল্প শেষ করতে খরচ হবে ১শ মিলিয়ন ডলার।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড