ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
১. তাওবাহ গোনাহ বিদূরক
আল্লাহর হাবিব (সা.) বলেন, ‘গোনাহ থেকে তাওবাহকারী এমনভাবে পবিত্র হয়ে যায়, যেন সে গোনাহটি করেইনি।’ [ইবনু মাজাহ, আসসুনান : ৪২৫০]
২. গোনাহকে নেকিতে রূপান্তরকারী
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘কিন্তু যারা তাওবাহ করে, ঈমান আনে ও আমলে সালিহ করে, এদের সকল পাপরাশি নেকিতে রূপান্তর করে দেন আল্লাহ তায়ালা। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। [সুরা আল ফুরকান : ৬৯]
৩. তাওবাহ হৃদয়কে পরিচ্ছন্ন করে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দা যখন কোন গোনাহের কাজ করে তখন তার অন্তরে একধরনের কালো দাগ পড়ে যায়। যদি ইস্তেগফার করে তাহলে এই দাগ দূরীভূত করে তার অন্তর সূচালু, ধারালো, ও পরিশীলিত হবে। আর এই দাগের কথা কুরআনেই আছে, খবরদার! তাদের অন্তরে দাগ রয়েছে যা তাঁরা কামাই করেছে।’ [তিরমিযি, আসসুনান : ৩৩৩৪]
৪. তাওবাহ দেয় সুন্দর জীবনের গ্যারান্টি
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তার সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অন্তর তারই প্রতি মনোনিবেশ করো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং তিনি অধিক আমলকারীকে বেশি করে দিবেন।’ [সুরা হুদ : ০৩]
৫. তাওবাহ রিযিক ও শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যম
আল্লাহ তায়ালা নুহ আলাইহিস সালামের কথা উদ্ধৃত করেন :
‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র ধারায় বৃষ্টির নহর ছেড়ে দিবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দিবেন। তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [সুরা নুহ : ১০-১২]
৬. তাওবাহ দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবি অর্জনের মাধ্যম
কুরআনুল কারিমের এক আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা তাওবাহ করে, ঈমান আনে ও আমলে সালিহ করে আশা করা যায় তাঁরা সফলকাম হবে।’ [সুরা কাসাস : ৬৭]
অপর এক আয়াতে এসেছে ‘পক্ষান্তরে যারা তাওবাহ করবে, ঈমান আনবে ও আমলে সালিহ করবে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, কোন প্রকার জুলুম করা হবে না।’ [সুরা মারইয়াম : ৬০]
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড