মালয়েশিয়ায় সফল গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম

মালয়েশিয়ায় সফল গবেষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম। গত বুধবার (১৮ মে) ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর দাতো ড. আব্দুল ওয়াহাব মোহাম্মদের হাত থেকে তিনি এই স্বীকৃতি সনদ ও অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ইসমানিজান ইসমাইল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশি অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম দৈনিক অধিকারের এ প্রতিবেদককে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি গবেষকরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। ইউকেএম এবং মালয়েশিয়াতেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমি একটি গবেষণা গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এর অধীনে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে নিয়োজিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, ইউকেএম-এ আমার গবেষণাগার পৃথিবীর উন্নত দেশের সমতুল্য এবং এই গবেষণাগার ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মেজারমেন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমি এই স্বীকৃতিতে অনেক আনন্দিত। বাংলাদেশি গবেষকদের সহযোগিতা করার জন্য আমি প্রস্তুত।

মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এবং সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। এমনকি তিনি জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি অ্যান্টেনা, মেটাম্যাটেরিয়ালস এবং মাইক্রোওয়েভ ইমেজিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রায় ৫০০টি গবেষণা জার্নাল নিবন্ধের লেখক এবং ২২টি ইনভেন্টরি পেটেন্ট দাখিল করেছেন।

অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদক পুরস্কার পেয়েছেন এবং বহু বছর যাবত ইইকেএম-এর শীর্ষ গবেষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি প্রায় ৩০ জন পিএইচডি ২০ জন এমএসসি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি ১০টিরও অধিক পোস্টডক্স এবং ভিজিটিং গবেষককে পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : বিশ্বকাপের কাজে বাংলাদেশি শ্রমিক চায় কাতার

প্রফেসর তারিকুল নটরডেম কলেজ ঢাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি স্তন এবং মাথার টিউমারের মতো রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রের জন্য জাপান, সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারের মতো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক গবেষণা পরিচালনা করছেন। ন্যানো স্যাটেলাইটের জন্য ছোট অ্যান্টেনা উন্নয়নেও সক্রিয়ভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে।

ওডি/কেএইচআর