আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের ভিসা আবেদনে ওয়ান-স্টপ সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে নিয়োগ কর্তাদের সংগঠন মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ)। যাতে করে ওয়ান-স্টপ সেন্টার স্থাপনে, বিদেশি কর্মীদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাসের (পিএলকেএস) জন্য নিয়োগকারীদের আবেদন সহজতর হয়।
রবিবার (৩ অক্টোবর) এমইএফের সভাপতি সৈয়দ হুসেইন সৈয়দ হুসমান বিবৃতির মাধ্যমে বলেছেন, ওয়ান-স্টপ সেন্টার নিয়োগকারীদের সার্টিফিকেট অব কমপ্লিশন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (সিসিসি), সার্টিফিকেট অফ অ্যাকোমেডেশন (সিএ) এবং পিএলকেএসের জন্য আবেদন করতে সহায়তা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার আবেদন এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করবে।
এছাড়া অভিবাসন বিভাগ থেকে পিএলকেএস নিয়োগ বা নবায়নের পূর্বে নিয়োগ দাতাদের শ্রম বিভাগ থেকে সিএ পাওয়ার প্রস্তাবটি অবাস্তব বলে উল্লেখ করে সৈয়দ হুসেইন বলেন, এটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের প্রবৃদ্ধির বেসরকারি খাতকে একত্রিত করার সরকারি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সৈয়দ হুসেইন আরও বলেন, প্রস্তাবিত প্রয়োজনীয়তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ বা তাদের কাজের পারমিট নবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং এটি অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আরও বিলম্বের কারণ হবে। যা ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতায় বাধা সৃষ্টি করবে।
এ দিকে শ্রমিকদের আবাসন অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, শ্রম বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এর ফলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসিসি এবং শ্রম বিভাগ থেকে সিএ পেতে নিয়োগকারীদের অসুবিধা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : উড্ডয়নের সময়ে ইঞ্জিনে পাখির আঘাত, বিমানে আগুন
যেসব শিল্পে স্থানীয় শ্রমিকরা এ ধরনের কাজে আগ্রহী নয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি পরিকল্পনার জন্য বিদেশি কর্মী নিয়োগ অপরিহার্য।
যেমন- অভিবাসন বিভাগ দ্বারা পিএলকেএসের জন্য দ্রুত অনুমোদন কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রমের পরিকল্পনা করতে এবং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা মেটাতে হবে।
সৈয়দ হুসেইন বলেন, এমইএফের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে- কোম্পানির দ্বারা কর্মীদের ন্যূনতম মানসম্মত আবাসন, আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা আইন ১৯৯০ (আইন ৪৪৬) মেনে চলার পিএলকেস অনুমোদন এবং নিয়োগকারীদের ব্যবসা করতে নিষেধ বা সীমাবদ্ধ করার পরিবর্তে অভিবাসন বিভাগ, শ্রম বিভাগ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সহজ হওয়া উচিৎ।
৪৬৬ অনুযায়ী শ্রমিকদের আবাসন প্রদানের জন্য মালিকদের উচ্চ খরচের বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় আইন ৪৪৬ প্রয়োগ করা হয়েছিল যখন বেশিরভাগ নিয়োগকর্তারা নতুন আইনের অধীনে এই ধরনের আবাসন মানের প্রয়োজনীয়তা পূরণের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন : টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ ট্রাম্প
সৈয়দ হুসেইন বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষকে ব্যবসার স্থিতিশীলতার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিৎ এবং ক্রমান্বয়ে আইন ৪৪৬ এর পূর্ণ প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে হবে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড