হার্ভার্ডের পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশি সাংবাদিক রাজুব ভৌমিকের লেখা

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেল বাংলাদেশি মার্কিন সাংবাদিক ও নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের কর্মকর্তা ড. রাজুব ভৌমিকের লেখা। বইটির নাম ‘জার্নালিস্ট অব টুডে : প্রোফাইলস ইন প্যাশন অ্যান্ড ডাইভার্সিটি’।

বইটির সম্পাদনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও সাংবাদিক জুন ক্যারোলাইন আর্লিক। এই বইটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে নিয়মিত পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত এই বইটি এখন অ্যামাজনেও পাওয়া যাচ্ছে। যার মূল্য ১৬ ডলার।

সাংবাদিক রাজুব ভৌমিকের লেখা এই বই সম্পর্কে আরও জানা যায়, সংবাদপত্রের ফিচার এবং প্রোফাইল নিয়ে লেখা বইটি এখন থেকে ‘নিউজ রাইটিং এবং প্রোসেমিনার ইন জার্নালিজম স্টাডিজ’ মাস্টার্স কোর্সে ব্যবহৃত হবে।

বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক জুন ক্যারোলাইন আর্লিক বলেন, ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের কতিপয় মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখা বই এটি। নিঃসন্দেহে হার্ভার্ডের সাংবাদিকতা বিভাগের ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বই বলে সমাদৃত হবে। এই বই থেকে ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন।’

রাজুব ভৌমিক যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের’ একজন সদস্য। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে লেখালেখি করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক ও কবি রাজুব ভৌমিকের জন্ম নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার শ্রীনদ্দি গ্রামে। ওটার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবনের যাত্রা শুরু হয়। বসুরহাটে সরকারি মুজিব কলেজে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। গত পাঁচ বছর যাবত নিউ ইয়র্কে সিটি ইউনিভার্সিটির জন জে কলেজে অপরাধবিদ্যা, আইন ও বিচার বিভাগে এবং হসটস কলেজে মনস্তাত্ত্বিক বিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি।

একই সঙ্গে গত সাত বছর যাবত পেশায় একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) এ কাউন্টার টেরোরিজমে কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত মোট গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও অধিক। নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটিতেও তার প্রকাশিত তিনটি বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নিয়মিত পড়ানো হয়।

আরও পড়ুন :- মিশিগানে কাউন্সিলম্যান নাঈমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

লেখক রাজুব ভৌমিক এই বইটি সম্পর্কে জানান, ‘এই প্রজেক্টটি নিয়ে আমরা সবাই বহুদিন নিরলসভাবে কাজ করেছি। আশা করি বইটি হার্ভার্ডের সাংবাদিকতা বিভাগের ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। আবার যারা ফিচার লিখতে আগ্রহী তারাও এই বইটি কিনতে পারবেন।’

ওডি/কেএইচআর