শিমুল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধি
আগামী রবিবার (২৭ অক্টোবর) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনকে সামগ্রিক প্রক্রিয়া অগোছালো বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে সম্মেলনকে ঘিরে মাইকিং, পোস্টারিং বা তেমন কোনো প্রচারণা না থাকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে এস.এম.এ হান্নান রুনু সভাপতি এবং সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদককে বাদ রেখেই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
দলের উপজেলা সভাপতি এস. এম. এ হান্নান রুনু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। আর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওই দুজন নেতা অনেকটাই জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী। যে কারণে সম্মেলনে শৃঙ্খলা,তোড়জোড়, প্রাণ নেই বলেও দাবি করছেন অনেক নেতা-কর্মী।
এদিকে সম্মেলনে অতিথি কারা থাকছেন তাও প্রকাশ করা হয়নি এখনো। ফলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন এ সম্মেলন ”ভুয়াবাজির সম্মেলন”। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ প্রভাবশালী আরও কয়েকজনই আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। ওই সব প্রার্থীরা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত।
সূত্র জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জয়পুরস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় মুন্সী আলাউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও শেখ সিহানুক রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলন সফল করতে লোহাগড়ার ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলর এবং পৌরসভায় ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলর তালিকা জমা পড়েছে। অবশ্য এ নিয়েও বিতর্ক ছিল।
এ দিকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভোটে নেতা নির্বাচিত করতে চান। তবে দলের কেউ কেউ বলছেন ভোটে কমিটি হলে পাতানো খেলার সম্মেলন। তাছাড়া সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দু-একজন নেতা বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে তাদের আশঙ্কা। উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম.এ হান্নান রুনু বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমান সভাপতি-সম্পাদককে ডাকা হয়নি। শুনেছি আমাদের না ডাকতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক নির্দেশ আছে। তাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী আলাউদ্দিন জানান, সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হবে। শুধু দিঘলিয়া ইউনিয়নে কাউন্সিলর নিয়ে ঝামেলা আছে। তবে দুই-এক দিনে সমাধান হয়ে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, তৃণমূলের ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে কি না তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঠিক করবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে। তাই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে তাদের রাখা হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, কাউন্সিলর নিয়ে যে বিতর্ক ছিল তা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সমাধান করা হয়েছে। মোট কাউন্সিলর ৪৮৯ জন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড