অধিকার ডেস্ক
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে নিয়ে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ‘গভীর চক্রান্তমূলক’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেওয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রদলের কাউন্সিলকে নিয়ে আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সেটাকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। কারণ আমান উল্লাহ সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রতিযোগী ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেননি কিংবা তিনি কাউন্সিলরও নন। কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া তার করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেওয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যখন কাউন্সিলের স্থগিতাদেশ আদেশ আনা হলো তখনই একটি বিশেষ চ্যানেলের ক্যামেরাও এসেছে, এ থেকে বোঝা যায় এটা একটা গভীর চক্রান্ত।’
আমরা বারবার গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের গণতন্ত্র হত্যা কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছি বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের হাত ধরেই এদেশে বারবার গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশান্তরিত করা হয়েছে। এক ভয়ঙ্কর একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্র-সমাজ থেকে গণতন্ত্রের শেষ নিশানাটুকু মুছে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের অবধারিত শর্ত মত ও চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করা হয়েছে। সুতরাং এই মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানেরই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সহ্য করতে পারছে না। এরই বর্ধিত প্রকাশ ঘটলো ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন নস্যাৎ করতেই সরকারের নির্দেশে এই আদেশ।’
ছাত্রদলের কাউন্সিল আদালতের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ দিয়ে আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরেকটি অধ্যায় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘এবার রাখঢাক করে নয়, বরং প্রকাশ্যেই আওয়ামী সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরিত্রটি আবারও উন্মোচিত করল। এরা যে গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ সেটি এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো। ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি।’
শনিবার অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিল হবে কি না জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘এ বিষয়ে সিনিয়র নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ এর বেশি তিনি আর প্রশ্ন না করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহমেদ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কাজী মোক্তার হোসাইন প্রমুখ।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড