বিএনপিকে মানববন্ধনের পরিবর্তে ‘দানববন্ধন’ কর্মসূচির পরামর্শ গয়েশ্বরের

মানববন্ধনের পরিবর্তে দানববন্ধন কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয় বেশি দিন মানববন্ধন চলবে না। আমাদের দানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হবে।’

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ পরামর্শ দেন তিনি।

এ সময় রাজনীতিবিদদের জন্য আদালত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মতো নেত্রীর মুক্তিতে আদালতের অপেক্ষায় থাকা তার জন্য অসম্মানজনক।’

আদালতের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে আদালত নিজে চলতে পারে না, যে আদালত নিজের চিন্তা-ভাবনা প্রয়োগ করতে পারে না, যে আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এক কদম হাঁটতে পারে না। সে আদালতের ওপর নির্ভরশীলতা আর খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা একই কথা।’

বিএনপির দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকার একমাত্র বাধা, তাহলে সরকার পতনের আন্দোলনই আগে করব। তারপর খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবেই মুক্ত হয়ে আসবেন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, মো. শরিফুল আলম কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেব দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

ওডি/এএস