নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান। তিনি খুনি না হলে আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ পাঠিয়ে বড় বড় পদে বসাতেন না। তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করেছিলেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু হুকুমদাতাদের বিচার হয়নি।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে মাঝে মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান ধরা পড়ে। যারা পড়াশোনা না করে শুধু তারাই ধরা পড়ে। দুবাই থেকে ঢাকায় যাদের নামে পাঠায় তারা কি ধরা পড়ছে? ধরা পড়েনি। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার হুকুম দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি।
মোজাম্মেল হক বলেন, খুনি বলেই জিয়ার মন্ত্রিসভায় শাহ আজিজসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন, সে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ বাদ দিয়ে আবার সেই পাকিস্তানি কায়দায় ধর্মীয় রাজনীতি চালু করে। পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দেন। এতে পরিষ্কার বোঝা যায় সে বঙ্গবন্ধু হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা ঈদ বোনাস ছাড়াও, বিজয় দিবসের বোনাস ও স্বাধীনতা দিবসের বোনাস পাবেন। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য সব সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ ব্যয়ভার বহন করা হবে। সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধার কবর কী ডিজাইন হবে তাও আমরা বলেছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী মো. দেলোয়ার হোসেন। এতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড