• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বঙ্গবন্ধু হত্যায় নীল নকশাকারীদের নির্মূল করতে হবে : খালিদ মাহমুদ

  অধিকার ডেস্ক

২২ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৮
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। (ছবি : সংগৃহীত)

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নীল নকশাকারীদের নির্মূল করা না গেলে দেশে মানবাধিকারকে কখনো সমুন্নত করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলেন না। তারা শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে, তাদের নির্মূল করতেই হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।

চৌধুরী বলেন, রক্তদান কর্মসূচির লক্ষ্য হলো আমাদের সকলের মধ্যে অনুপ্রেরণা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠন করতে পারলে তার ঋণ শোধ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শুধু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নয়, ঘাতকরা বাংলাদেশকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া মোশতাকচক্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে ইসলামিক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪ মূল নীতিকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে পরবর্তীতে আইনে পরিণত করেন। জিয়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত দালালদের বিচারের জন্য তৈরি করা দালাল আইন বাতিল করা হয়েছিল। খুনিদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন। চিহ্নিত খুনি রশিদ-ফারুকচক্রকে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। তিনি হাজার হাজার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময়েও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পায়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুরু করে। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নিম্ন আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে সে বিচার কার্যক্রম আর আলোর মুখ দেখেনি।

অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএর সদর দফতর ও ঢাকা নদী বন্দরের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল নদী বন্দরে পৃথকভাবে সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

ওডি/এসএইচএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড