‘আরেক ডেঙ্গুর’ কামড়ে জেলে ছটফট করছেন খালেদা : গয়েশ্বর

জেলখানায় আরেক ডেঙ্গুর কামড়ে ছটফট করছেন খালেদা জিয়া, সেখানে ওষুধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘অদৃশ্যমান আর দৃশ্যমান ডেঙ্গু দেখছি ১০ থেকে ১১ বছর যাবত। যে ডেঙ্গুর কামড়ে গণতন্ত্র নেই। আরেক ডেঙ্গুর কামড়ে জেলখানায় ছটফট করছেন খালেদা জিয়া, সেখানে ওষুধ নেই। রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, আইন এবং নিয়ম বহির্ভূত যত ধরনের নির্যাতন আছে, তা বেগম খালেদা জিয়ার ওপর চলছে। কিন্তু আমরা নির্বাক তাকিয়ে আছি।’

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহতা : জন আতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ডেঙ্গুর কামড়ে মানুষ মরে পাঁচদিন সাতদিনে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে যে ডেঙ্গু কামড় দিয়েছে, তা খালেদা জিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছাড়বে না।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিল, সেটা তারা গ্রহণ করেনি। সরকার সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিলে আজকে ডেঙ্গুর এই অবস্থা হতো না।

‘যে সরকারের নৈতিক ভিত্তি নেই, কোনো জনসমর্থন নেই, দায়বদ্ধতা নেই, সেই সরকারের প্রতি জনগণেরও কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি না,’ যোগ করেন গয়েশ্বর।

খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা যদি ছাড়বেই তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন জেলে নেবে? আমরা তাকে মুক্ত করতে চাই কি-না, সে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না। সুতরাং বিএনপির মতো একটা দল যে আন্দোলন করার যোগ্যতা রাখে, সেই আন্দোলন না করলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না।

ঘরে প্রোগ্রাম করে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সুতরাং আপনারা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নেন। নিশ্চয়ই দল আপনাদের ডাক দেবে। আর যদি ডাক না দেয়, তাহলে আমাদের নিজেদেরই মাঠে নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্মআহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবির প্রমুখ।

ওডি/এএস