অধিকার ডেস্ক
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কালুরঘাট ব্রিজের সৎগতি (কাজের সুরাহা) না হলে সংসদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট ব্রিজের সৎগতি না হলে এই সংসদ থেকে বের হয়ে যাব। এই রকম অপমান মেনে নেওয়া যায় না।’ জাসদের এই নেতা বলেন, ‘আমার শিক্ষক আমাকে বলছে তোমার কালুরঘাট সেতুর কি হইল। আমি বলছি চেষ্টা করছি। কয় মিয়া তুমি আর কি চেষ্টা করবা। তোমার অবস্থা হইল। তুমি হইলা বকা উল্লাহ, তুমি বইকা যাবা। শোনা উল্লারা শুইনা যাবে করিমুল্লারা কইরা যাবে, আর খানে উল্লারা খাইয়া যাবে। আর গরীবুল্লারা চর্তুদিকে ফ্যাঁ ফ্যাঁ কইরা তাকাবে রাজা রানীর কথা আসলে বেশ বেশ করবে। এখন তুমি কোনটা? বলছি স্যার প্রথমটা তো হইছি। বকা উল্লা বলতে পারবে। বকা ছাড়া কাজ নাই। গত ১০ বছরের দেখেছি বকা ছাড়া লাভ নাই। আরেকটা হয়েছি গরীবুল্লাও বটে। এদিক সেদিক ফ্যাঁ ফ্যাঁ করি। মাঝে মাঝে সুপারিশ মোতাবেক বাহ বেশ বেশ করি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পে চারবার ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এসএমবিসি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেছে তাইওয়ানের ওইকন করেছে বাংলাদেশের এইচ কনসালটেন্ট করেছে। এটা শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কথা হয়েছে। এই প্রজেক্টের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে থেকে জিওবি ফান্ড থেকে ৩৭৯ কোটি টাকা, বাকি পুরা টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৪০ বছরের টার্নেল করা হবে। তার সুদ ০.০১ শতাংশ। এত কিছুর পরও হয় না।
তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হচ্ছে, হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে। আমি বকা উল্লা কি বলব আমাকে সেটার উত্তর দিতে হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট ব্রিজের সৎগতি না হলে এই সংসদ থেকে বের হয়ে যাব। এই রকম অপমান মেনে নেওয়া যায় না।’
বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোয় সমালোচনা করে এই সাংসদ বলেন, ‘এটা কি তামাশার দেশ পাইছেন। ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সেটা বেড়ে এক লাখ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। কি কারণে? কেন, কি কারণে? যারা প্রজেক্ট বানায় তাদের ধরে এনে পিটানো উচিত।’
স্বাধীনতার ঘোষক বির্তকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া উর রহমানের অবস্থান সম্পর্কে বাদল বলেন, ‘আমি প্রথম ব্যক্তি ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালি মাঠ থেকে রিসিভ করেছিলাম। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ পুরো দিন বোয়ালখালি ছিলেন, সারা দিন বোয়ালখালী ছিলেন।’
এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে জিয়াউর রহমান ২৬ তারিখ কর্ণফুলি অতিক্রম করেছে তাহলে আমি সংসদ থেকে চলে যাব। এই সমস্ত জায়গা গুলোতে মিথ্যাচার করার দরকার নাই। উনি গেছেন, উনি পড়েছেন ২৭ তারিখ।’
ওডি/এআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড