এ সপ্তাহেই খালেদা জিয়ার জামিন : মওদুদ

হাইকোর্টে চলতি সপ্তাহেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে এখন রায়ের অপেক্ষায় বেগম খালেদা জিয়ার দুটি মামলা আছে। একটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, আরেকটি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এই সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ আদালত বিভাগে এ দুটি মামলায় জামিন চাওয়া হবে। আমরা আশা করি, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার জামিন হবে। যদি জামিন না হয় তাহলে অবশ্যই আমরা আপিল ডিভিশনে যাব।

রবিবার (১৬ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা দলের ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজ প্রায় ষোল মাস যাবত বেগম জিয়া কারাবন্দি আছেন উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তার জামিনের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। কিন্তু তার সত্যিকারের মুক্তি আসবে আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজপথেই বেগম জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। এ জন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে এবং কর্মসূচি দিতে হবে। আমাদেরকে এমন কর্মসূচি দিতে হবে, যাতে সরকার বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সারাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, তারা সকলেই চায়, বেগম জিয়া যাতে আর কারাগারে না থাকেন। এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছা। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না কারণ, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা শত চেষ্টা করেও জামিনের সুরাহা করতে পারছি না।

নতুন অর্থবছরে (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটের প্রসঙ্গে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের সুবিধাভোগীদের জন্য এ বাজেট। এ বাজেট জনসাধারণের জন্য না।

গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে গেছে দাবি করে বিএনপির প্রবীণ এই নেতা বলেন, এটা বর্তমান সরকারের বাজেটের চেয়েও বেশি টাকা। যে হারে টাকা পাচার হচ্ছে! এ পাচার কারা করছে? এ সরকারের মদদ নিয়ে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা করেছে, সেটা দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করেছে।

দেশের মানুষের জন্য সুদিন আসছে জানীয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মওদুদ আহমদ আরও বলেন, এই সুদিন এখন সময়ের ব্যাপার। এই সুদিন সেই দিন আসবে, যেদিন গণতন্ত্র আসবে, বেগম জিয়া মুক্ত হবেন, আইনের শাসন এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আপনাদের থাকতে হবে।

মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত উপস্থিত ছিলেন।

ওডি/এএস