অধিকার ডেস্ক ২৪ মে ২০১৯, ১৮:০৫
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। তখন পুলিশের হামলার শিকার হন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক জবির ছাত্র সিরাজ। গুলি খাওয়ার পর মনে হচ্ছিল তিনি বাঁচবেন না। সেই সিরাজ এখন স্লোগান মাস্টার।
অভিযোগ রয়েছে, ওই দিন পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে পুলিশ তার পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে সিরাজের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে এক পথচারী মহিলার সহায়তায় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবোধনে চিকিৎসা চলে। তিন দিন লাইফ সাপোর্ট ও পাঁচ দিন আইসিইউতে ছিলেন। শরীরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে শরীরের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে আবার রাজপথে ফিরে আসেন সিরাজ।
মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসা সিরাজ এখনো সেই দুর্বিষহ স্মৃতি বুকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের নামে স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে। রাজপথে সরব থাকেন নতুন উদ্যমে।
সিরাজ বলেন, ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই তারেক রহমানের নামে কুটক্তির বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ গুলি চালায়। আমি প্রথম গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে দ্বিতীয় দফায় পুলিশ কাছে এসে আমার পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আবার রাজপথে ফিরে আসতে পেরে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ভাইয়ার সহযোগিতাসহ দলের সিনিয়র নেতারা, বড়-ছোট বিভিন্ন পর্যায়ের ভাই- বন্ধু, বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও ভালোবাসায় মহান রব্বুল আল-আমিন হয়ত নতুন জীবন দিয়েছেন। যারা সেদিনগুলোতে পাশে ছিলেন তাদের প্রতি শুধু কৃতজ্ঞতা নয় হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকে সব সময়। তাদের সেই দিনগুলোতে সহযোগিতা, সাহস, অনুপ্রেরণা আমাকে সুস্থ হতে সহযোগিতা করেছে।
এ ছাত্র নেতা আরও বলেন, জীবনে শেষদিন পর্যন্ত শহীদ জিয়ার নামে শ্লোগান দিতে চাই। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলে দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারলে স্বার্থক মনে করবো।
পারিবারিকভাবে বিএনপি পরিবারের সন্তান সিরাজের পিতা পেশায় শিক্ষক। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সিরাজের স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তৃণমূল ছাত্রদলের কাছে স্লোগান মাস্টার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন সিরাজ।
সিরাজের জেলা পিরোজপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, সিরাজ পিরোজপুরের এক আদর্শ গর্বিত জাতীয়তাবাদী সন্তানের নাম। তার ত্যাগ, রক্ত দল ও আমরা ভুলতে পারি না, সাবেক ছাত্রনেতা হিনেবে ভালো লাগে যখন দেখি আমাদের আদর্শের সু-সন্তান সিরাজরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে জীবন বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করে না। সিরাজরাই আগামীর অনুপ্রেরণা। এদের ভালোবাসায় শহীদ জিয়া পরিবার ও বিএনপি বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।
সিরাজের মা বলেন, ‘আমার বুকের ধন সিরাজরে যেভাবে গুলি করছিল, সবাই ভাবছে ও বাঁচবে না। আল্লাহর কাছে যে কত কাঁদছি, সেটা একমাত্র আল্লাহ জানে। আল্লাহ আমার মানিকরে ফিরাইয়া দিছে।’
তিনি বলেন, সিরাজ ছোটকাল থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। আমার মানিক দেশের জন্য গুলি খাইছে, দেশমাতা খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের জন্য গুলি খাইছে। আমি আমার সিরাজকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দেশমাতা খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিছি।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড