• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পদবঞ্চিতদের উপর আবারও হামলা  

‘আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব’

  অধিকার ডেস্ক

১৯ মে ২০১৯, ০৯:৩০
গোলাম রাব্বানী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী (ছবি : ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদ না পাওয়া বঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলেছেন। তাদের প্রতিবাদের মধ্যেই মধুর ক্যান্টিনে পদপ্রাপ্তদের দ্বারা হামলার শিকার হন পদবঞ্চিতরা। এসব বিষয় নিয়ে শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈঠকে বসেন পদবঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

তবে বৈঠকের এক পর্যায়ে পদবঞ্চিতদের উপর আরও একবার হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি উঠেছে। পদবঞ্চিত নেতারা জানান, সংগঠনের বিতর্কিত যেসব নেতার নাম কমিটিতে এসেছে, তাদের বহিষ্কারের সময়সীমা ও মধুর ক্যান্টিনে হামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে টিএসসিতে বসেন তারা।

তারা বলেন, কথা বলার একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তারের কাছে তার আনীত মাদকের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী লিপিকে আক্রমণ করেন এবং মারেন বলে অভিযোগ করেন গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অনশন

তিনি অভিযোগে বলেন, রাব্বানীর অনুসারীরা আমাদের সবার ওপর হামলা করেন। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মারধরের শিকার হয়েছেন- নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।

হামলার ঘটনার বিষয়ে পদবঞ্চিত অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ‘বিতর্কিত’দের বাদ দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর কমিটি ও মধুর ক্যানটিনের সোমবারের হামলার ঘটনা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে টিএসসিতে আলোচনায় বসেছিলেন তারা।

মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

তিনি বলেন, সেখানে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তারকে আপত্তিকর কথা বললে তিনি প্রতিবাদ জানান। এর জেরে সেখানে উপস্থিত গোলাম রাব্বানীর কর্মীরা লিপিসহ পদবঞ্চিত কয়েকজনকে মারধর করেন।

এ ঘটনার পর মারধরের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পদদেশে অনশনে বসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অংশের সদস্যরা।

শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে বৃষ্টিতে ভিজেই অনশন করছেন তারা। রাত তিনটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অনশন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

তবে পদবঞ্চিতরা তাদের কেন্দ্রীয় প্রধান দুই নেতাকে প্রত্যাখ্যান করে মারধরের বিচার দাবি করেন। এছাড়া তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতেও বলেন।

পদবঞ্চিতদের এমন আচরণে হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি সরি। তোমরা চলে যাও। আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।’ তবে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমি আজ কিছু বলব না। যা বলার কাল বলব।’

তবে গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে আনা মারধরের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাউকেই মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে ‘হট টক’ হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন।

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড