অধিকার ডেস্ক ২২ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৪৫
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, অতীতের মতো শীর্ষ ঋণ খেলাপিরা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে রয়ে গেছে। বর্তমান শাসনামলে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খেলাপি ঋণের ব্যাপারে আমরা এরশাদ আমলে খুব সোচ্চার ছিলাম। যারা তখন খেলাপি ঋণের শীর্ষে ছিলেন, এখনও এই সরকারে তারা শীর্ষ স্থানে রয়েছেন। তারা অনেক বড় বড় কর্তাব্যক্তি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রী মেনন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণের ভারে সব ব্যাংক নুয়ে পড়েছে। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিপূর্ণ নৈরাজ্যের মধ্যে চলে গেছে। তারল্য সংকট রয়েছে, বিনিয়োগের অর্থ ব্যাংকগুলোর নেই। এই অবস্থায় বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এবং ৯ শতাংশ সুদ ধরে ১২ বছরের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মেনন বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ী বা মানুষ যখন ঋণের রিশিডিউল করতে চান, তখন কিন্তু তাকে ১০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়। আর এমন ঋণ নিয়ে একজনকে সুদ দিতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। তাহলে সোজা কথা ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়াই সুবিধা। খেলাপি হয়ে গেলেই ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১২ বছরে ৯ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া যাবে। যেখানে নিয়মিত সুদ দিলে তো ১৩ শতাংশ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৯ শতাংশ সরল সুদে এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার কথা জানান।
মেনন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠিন শর্তারোপের কারণে খেলাপি ঋণের টাকা বিদেশে বিনিয়োগ না করে সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছেন খেলাপিরা। গরিব মানুষ বা একজন কৃষক যখন ঋণ নিয়ে ঋণ ফেরত দিতে পারছেন না, তখন হাতকড়া পরিয়ে জেলে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশ, রাষ্ট্র এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিকুজ্জামান ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড