অধিকার ডেস্ক ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:১২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। কারণ, তিনি একজন সেনা নায়কের স্ত্রী। তিনি হঠাৎ ক্ষমতায় বসে পড়েননি। দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই সংগ্রাম করে জনগণকে ভালোবেসে, তাদের ভালোবাসায় রাষ্ট্র পরিচালার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শত নাগরিক কমিটির আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারের লেখা ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইটির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে বারবার ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়েছে এমন কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বারবার চেষ্টা হয়েছে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার। কিন্তু সম্ভব হয়নি, বার বার জনগণের শক্তি নিয়ে বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়া জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি আমাদের শক্তি, সাহস।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশো করে বলেছেন, আপনারা হতাশ হবেন না। হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি প্রতিটি সঙ্কটে উঠে দাঁড়িয়েছে। দাঁড়িয়েছে তার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। কারণ, বিএনপি হলো এদেশের জনগণের দল।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে দুইজন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তার একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অপরজন হলেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। এই সময়টা আমাদের মনে করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে মুরুব্বি যারা আছেন তারা জানেন, বিএনপির ঘোষণাপত্র ছিল প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্রব্যবস্থা। কিন্তু যখন স্বৈরাচার এরশাদকে সরাতে জাতীয় ঐক্যের বিষয় এলো। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করার প্রেক্ষাপট তৈরি হলো, তখন এটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ালো। তখন প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্রের ঘোষণার কারণে ঐক্য হচ্ছিল না অথবা ভেঙে যাচ্ছিল। তখন এটা ভেঙে দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের ঘোষণা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সুতরাং মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে যা কিছু, এর সব অবদান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি।
শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর রায়, ড.আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বইটির দুই লেখক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ও কবি আব্দুল হাই শিকদার এবং ২০ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা মোস্তাফিজুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড