• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

খালেদা জিয়ার লন্ডন ভ্রমণের খবর প্রোপাগান্ডা

  অধিকার ডেস্ক    ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২১

খালেদা
ছবি : সম্পাদিত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গটিকে প্রোপাগাণ্ডা বলে দাবি করেছে বিএনপি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ধরনের প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর ঘটনায় জড়িত বলেও অভিযোগ করেছে দলটি। এ দিকে, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।

বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার প্রোপাগাণ্ডার সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জড়িত। এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সূত্রবিহীন একটি খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, খালেদা জিয়া প্যারোলে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। এমনকি তারা তারিখও বলে দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো-বিএনপির কোনও সূত্র এমন কিছুই জানে না।

সরকারপন্থী মিডিয়াগুলো মনগড়া প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, প্যারোল নিয়ে সরকারি মিশন সাকসেসফুলের জন্য ক্ষমতাসীনরা চতুর রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে।প্যারোলের নামে মাইনাস তত্ত্বের অশুভ চক্রান্ত করে লাভ হবে না বলেও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন রিজভী।

এছাড়া আদালতে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনে আর বাধা দেবেন না। আদালতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের ওপর থেকে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই আমাদের নেত্রী আইনি প্রক্রিয়ায় জামিনে বেরিয়ে আসবেন।

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, প্যারোলে মুক্তি নিয়ে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া এ বিষয়ে ব্রিটিশ দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচ বছর সাজা দেন খালেদা জিয়াকে। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির আবেদন (রিভিশন) করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদন গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

এছাড়া গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সাজা দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। এটিও শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৩৩ মামলায় জামিনে রয়েছেন।

এ দিকে গত ৬ এপ্রিল জামালপুরের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল গত ৭ এপ্রিল এক অনশন কর্মসূচিতে বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানায়নি, তিনি জামিনে মুক্তি পান।’

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড