নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জড়িত : দুদু

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে মেয়েটির জন্য সারা দেশের মানুষ কেঁদেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কিন্তু নুসরাতকে কে হত্যা করেছে? আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এমন কি ওসিও এদের সাথে জড়িত। ওসিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলতে পারে না। এরা সব সময় ভয়ে থাকে যে, পুলিশ আবার আবার কখন উল্টে দেয়। কারণ পুলিশকে দিয়ে তো ভোট ডাকাতি ও চুরি করে ক্ষমতায় আছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থ থাকায় তিনি আসতে পারেননি বলে জানান সভার সভাপতি বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

শুধু নুসরাতকে হত্যা করা নয়, একটি গবেষণায় দেখা গেছে গত তিন মাসে দুই হাজারের অধিক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামে একজন নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন বেগম খালেদা জিয়া ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন খুশি কবীর, সুলতানা কামালরা ছিলেন কি না আমার জানা নেই। মুন্নী সাহার জন্ম হয়েছিল কি না আমার জানা নেই। এসব নেত্রীরা এখন কোথায় মুখ লুকালেন?

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেবেন কেন? তিনি কি অপরাধী? এটা আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ওপর ছেড়ে দেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

আজ যারা বিচারালয়ে বিচারক আছেন, পুলিশ আছেন আমি তাদের সমালোচনা করবো না বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শুধু এতটুকু বলবো একটু বিবেক দিয়ে ভাবেন কে অপরাধী?

আয়োজক সংগঠনের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।

ওডি/এএস