• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দৈনিক অধিকারের সাক্ষাৎকারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আলাল

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথেই হাঁটতে চায় বিএনপি

  আয়াজ উর রাহমান

০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪২
খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (ছবি : ফাইল ফটো)

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই বিষয়ে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলেও মতামত দিয়েছেন। তবে বার বার আন্দোলনের ডাক দিলেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দীর্ঘ ১০ বছরেও দেখাতে পারেনি দলটি।

তবে বর্তমানে দলকে পুনর্গঠন করে সহিংস নয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরতন্ত্র মুক্ত করার লক্ষ্যে ধীর গতিতে এগিয়ে চলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফের খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বারবার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিএনপি ঠিকই উঠে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে বিএনপি আবার উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হবে- এটা আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আজ দেশনেত্রীর মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। এজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে।

গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে সরকার ‘একদলীয় ব্যবস্থা’ পুনঃপ্রবর্তনের চক্রান্ত করছে বলেও সমাবেশে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

বর্তমানে দেশের এই সংকট শুধু বিএনপির নয় এটা জাতীয় সংকট বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল। এই বিষয়ে তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র থেকে চিরতরে গণতন্ত্রকে বিসর্জন দেয়ার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এটাকে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সব চক্রান্ত প্রায় সম্পন্ন। এখন বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি একটা আবদ্ধ কারাগারের মধ্যে রয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের নেতাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে, সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।

তবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে কখনো আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। এই বিষয়ে তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন হয়ে কখনও কোনো আন্দোলন সফল করা যায় না। সেজন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য আমাদের সব কৌশল করে নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব আশাবাদী মানুষ। আমি মনে করি, কখনও অন্যায়ের কাছে ন্যায়ের পরাজয় হতে পারে না। যেটা হয়, সেটা সাময়িক হতে পারে। অবশ্যই ন্যায়ের জয় হবেই, সত্যের জয় হবেই।

আন্দোলন গড়ে তুলতে বিএনপিকে পুনর্গঠন করার প্রয়োজন বলে জানান মির্জা ফখরুল। এই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।

এসব বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত সঠিকভাবেই আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে পুনর্গঠিত করার কাজ শুরু করেছেন। সক্রিয় করার কাজ শুরু করেছেন। বিএনপির সাংগঠনিক জেলাগুলোকে সক্রিয় করার কাজ শুরু করেছেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমার বিশ্বাস, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের এ সংগঠন আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবেই। অনেক ঝড় গেছে, অনেক ঝঞ্ঝা গেছে, অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যেও বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছে সবসময়।

দেশের গণমাধ্যম আজ পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমাদের মিডিয়া এখন নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যে, বিরোধী দলের খবর এখন সবচেয়ে কম ছাপা হয়- তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পৃষ্ঠায়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কয়েক সেকেন্ড খবর দেয়া হয়। কারণটা কী? মিডিয়া হচ্ছে একটা বড় মাধ্যম, যে মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়। সে কারণে এই সরকারের অপচেষ্টা হচ্ছে, যারা জনগণের শক্তি নিয়ে এগোতে চায়, তাদের বিভ্রান্ত করা। আজ আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

এদিকে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানও আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোনো পন্থা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য প্রয়োজনবোধে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। স্বেচ্ছায় কারাবরণ করে হয় আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, নইলে সবাই জেলে থাকব- এটাই আজ আমাদের শপথ হোক।

এদিকে বিএনপি বার বার আন্দোলনের ডাক দিলেও রাজপথে নেই তেমন কর্মসূচি। তবে মুখে মুখেই কি চলছে আন্দোলনের ডাক? নাকি ভিন্ন পথেই হাঁটতে চাচ্ছে দলটি। এসব বিষয়ে নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ এর নির্বাচনের সময় পেট্রোল বোমা হামলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে দলটির উপর। সরকার পক্ষের নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি সহিংসতার রাজনীতি করে। তাদের সহিংসতায় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টিই দলটির মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

এসব অভিযোগে এক সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপির ভাবমূর্তি জনমনে কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এসব অভিযোগ থেকে জনমনে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় দলটিকে ঘুরে দাঁড়াতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই হতে পারে একমাত্র পথ। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই বলেও মতামত দিয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই বর্তমানে দলটির মূল রাজনৈতিক পদক্ষেপ কিনা এই বিষয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দৈনিক অধিকারকে বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের উপর যে অপবাদ দেওয়া হয়েছিল, সেটা যে সরকারের মনগড়া এবং সাজানো ছিল সেটা কিন্তু আমরা পরবর্তীতে প্রমাণ করেছি। ২০১৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচি দেয় নি। আমাদের মূল নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতদিন ধরে কারাগারে, তারপরও কিন্তু আমরা এমন কোনো কর্মসূচি দেইনি, যেটা মানুষের জীবনে কষ্ট আনে এ ধরনের কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চায় বিএনপি এমন মতামত দিয়ে আলাল বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের এগুতে হবে এবং এর মাধ্যমেই জনমতকে সুসংগঠিত করতে হবে।

আন্দোলনের ডাক দিলেও কর্মসূচি নেই এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা বলছেন আন্দোলন হচ্ছে না কেন, এই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দলের দায়িত্ব নিলেন তারপর থেকেও কিন্তু বহু বছর সময় লেগেছিল। ৭৫ পরবর্তী সময়েও কিন্তু এর চেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল আওয়ামী লীগের। সেই তুলনায় বর্তমান বিএনপি কিন্তু একটি স্বস্তিদায়ক রাজনৈতিক অবস্থায় আছে। ১৯৮১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে ১৯৯৬ সালে কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বাদ পেয়েছিল। এর পরবর্তী ইতিহাস তো আমরা জানি। কাজেই হঠাৎ করেই যে আন্দোলন করে কিছু হবে এটা বলা আসলে ঠিক না।

সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনৈতিক আচরণের বিষয় তুলে ধরে আলাল বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরেই কিন্তু সরকার এক ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করে যাচ্ছে। খুন, গুম, নির্যাতন, কারাগার ভর্তি বিএনপির নেতাকর্মীরা, গায়েব হয়েছেন অনেকে, গুম হয়েছেন অনেকে। এসব ক্রমাগত অত্যাচারে একটি শক্তি তো ক্ষয় হয় আসলে।

এই ক্ষয় হওয়া শক্তিকে পুনর্গঠিত না করে বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়াটা তো আরেকটি বড় অত্যাচারকে আসলে আহ্বান জানানো বলেই মনে করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোকেও আমাদের সতর্কতার সাথেই দেখতে হয়।

কাজেই সব কিছু মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পরিকল্পনা বিএনপির নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে দলকে পুনর্গঠিত করার প্রক্রিয়াও চলছে। সময়মতো এর প্রতিফলন ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দলকে সুসংগঠনে বিএনপির পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে আলাল বলেন, দলকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া তো চলমান রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আগাম ভোটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে। তৃণমূল পর্যায়ে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা আমরা শুনছি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের নানা অভিযোগও শোনা হচ্ছে। কাজেই এর মধ্য থেকেই কিন্তু একটা সংগঠিত হওয়ার মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়েই আমরা দলকে পুনর্গঠনের কাজ করছি।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব কিনা এই প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, মূলত বেগম জিয়াকে মুক্ত করা যেমন আমাদের একটি লক্ষ্য, তেমনই বাংলাদেশকে স্বৈরতন্ত্রমুক্ত করাও আমাদের প্রত্যয়। বেগম জিয়া কারাগারে আছেন, মানে গণতন্ত্রই কারাগারে আছে। বিএনপি অনেক কষ্টের মধ্যে আছে, মানে সারাদেশ কিন্তু কষ্টের মধ্যে আছে।

দায়বদ্ধতা বলতে দেশে বর্তমানে কিছু নেই বলে অভিযোগ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমলাতন্ত্র ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মুখোমুখি হয়ে গেছে। আমরা প্রায় জায়গায়ই দেখছি, মন্ত্রীর সঙ্গে এসপির তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। মন্ত্রীর সঙ্গে ডিসির দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। মন্ত্রীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই যে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ক্ষমতার অহংকারবোধ দেখানো, এটা কিন্তু বর্তমান সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে। পদে পদে জনগণ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং বিচারহীনতার শিকার হচ্ছেন।

সড়ক দুর্ঘটনা এবং অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো ধরনের দুর্যোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় দেখার মতো সময় কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই। আর জনগণ এসব থেকে কিন্তু বিচারহীনতার শিকার হচ্ছে।

এসবের এক মাত্র কারণ দেশ অগণতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদী পথের দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশকে এই জায়গা থেকে মুক্ত করাই আমাদের একটা প্রত্যয়। দুটো বিষয়কে এক সঙ্গে করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

সবশেষে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ধীর গতিতে এগিয়েই একটা ফল মিলবে। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এখন ফলাফলটা শুধুমাত্র একটা সময়ের ব্যাপার।

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড