খালেদার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

দলের সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এটি নাইটিঙ্গেলের দিকে এগিয়ে স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর গিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভ মিছিল শেষে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অ্যাডভোকেট নিপুন রায়ের উপস্থাপনায় বিএনপির রুহুল কবির রিজভী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।

এ সময় সরকারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুণছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ‘৭৫ এর হুবহু বাকশাল পুনঃপ্রর্বতনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনি সংকেত।

গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় এসে তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সেজন্য বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এ সময় সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আহ্বান জানান রিজভী।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর সরকারসহ নেতাকর্মীরা।

এএস